শেখ নুরুল আবছার
ইদানিং রাজনীতিতে যোগ্যতার চাইতেও অর্থকে বেশী মূল্যায়িত করা হচ্ছে যার কারনে অনেক যোগ্যতম রাজনৈতিক হয়েও অর্থের কাছে যোগ্যতম লোকেরা পদ বন্চিত হয়ে অযোগ্য নব বিত্তশালীরা ভাইটাল পদবীতে পদায়িত হয়ে রাজনীতির চর্চা করছে,কিন্তু ভুলে যাচ্ছেন রাজনীতিতে শুধু অর্থকে মূখ্য হিসাবে মূল্যায়ন করলে যোগ্যতা, মেধা, শ্রম, সততা, নীতি-নৈতিকতা, আত্ন সন্মানবোধ, এসবই ঐ অর্থই অনর্থের কাছে ধরাশায়ী হয়ে গেলে একদিন রাজনীতিতে দলের রাজনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনবে তা সুনিশ্চিত।
রাজনীতিতে যদি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা না থাকেন আর ব্যবসায়ীদেরকে রাজনৈতিক পদবী মূল্যায়ন করেন তবে রাজনীতিকে রাজনীতি নামে মূল্যায়ন না করে ব্যবসানীতির পরিচয়ে পরিচায়িত করলে বা ব্যবসানীতি হিসাবে সূচনা ঘটালে বোধ হয় সবাই ব্যবসা-নীতিই করতো আর রাজনীতি করার প্রয়োজন হতো না।রাজনীতি মানেই সমাজসেবা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কি বললেন? আমি ব্যবসায়ী নই যে দেশকে উপরের দিকে নিয়ে যাব!! আমি রাজনৈতিক আর রাজনীতি মানে সমাজনীতি, সমাজ সেবা, তাই আমাকে দিয়ে দেশের অর্থনীতি উপরে যাবে না ঠিকই কিন্তু সেবাটা নিশ্চিত হবে। রাজনীতি শুধুমাত্র অর্থ দিয়েই বা কি হবে যদি না সেবাটা সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে না পারি?
এখন আমরা আমাদের দেশীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি অহরহ:প্রত্যক্ষ করছি, আমাদের দেশীয় রাজনীতির মূল সূত্র কি বলছে? যদি তৃণমূল পর্যায়েও বিচার-বিবেচনা করেন,সঠিক মূল্যায়ন বা বিবেচনার দ্বার-প্রান্তে নিয়ে যান সেখানে কি ঘটছে?
রাজনৈতিকভাবে সেবার মান কতটুকুন নিশ্চিত করছেন জনৈক রাজনৈতিকরা। রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ব্যাপারে কতটুকুন সচেতন,দেশে কতটুকুন গনতন্ত্র নিশ্চিত করতে পেরেছেন?যুগে যুগে রাজনৈতিকরা মানুষের সাথে কতটুকুন বিমাতাসূলভ আচরণ করেছে, সত্যিকারের রাজনৈতিক ত্যাগী ব্যক্তির চেয়ে শুধু অর্থকে প্রাধান্য দিলে তো দেশে আর রাজনীতিবিদ তৈরী হবে না, তৈরী হবে ব্যবসায়ী, তৈরী হবে অসাধু ব্যবসায়ী-মানবতার সেবামূলক কাজ করা হবে না। অবৈধ অর্থ দিয়ে সেবা করা যায় না, একমাত্র টাকার বাহাদুরি ব্যতিরে অন্যকিছুরই দেখানো সম্ভব নয় এবং সুচিন্তিত রাজনৈতিক বোধ দর্শনে আসবে না এটা নিশ্চিত বলতে পারি।
সময়ের সাথে সাথে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদেরকেও ভাবতে হবে সেইসাথে ব্যবসায়ীদেরকে মূল্যায়ন করে রাজনীতির সর্বক্ষেত্রে একটা ব্যালেন্স তৈরী করতে পারলে দেখবেন আমাদের এ দেশ – জননী জন্মভূমি সত্যি স্বর্গ থেকে ও শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠতম হিসাবে আবির্ভূত হয়ে আত্ন-প্রকাশ করবে।
পরিশেষে,এটুকুই বলতে চাই, অর্থলোভীকে বারে বারে ক্ষমতায়িত করলে ঐ অর্থবাজ-স্বার্থবাজ হতে বেশী সময় নিবে না।বর্তমান বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছাড়াও আরো দুটি ভাইরাস রয়েছে। আর তা হলো ১/অর্থ ভাইরাস এবং ২/স্বার্থ ভাইরাস।অর্থ ও স্বার্থ ভাইরাস যখন একত্রিত হবে তখন যত প্রকারেরই ভ্যাক্সিন আবিস্কার করুন না কেন?-ঐ অর্থ এবং স্বার্থ ভাইরাসের বিষক্রিয়ায় আমাদের দেশ ও দেশের জনগন ধ্বংস হয়ে যাবে।অতএব, বর্তমানের করোনা ভাইরাসের চেয়ে ও ক্ষতিকর এই (অ-স্বা) ভাইরাস। এই ভাইরাসের জন্য ১০০% এন্টিবডি ভ্যাক্সিন জরুরী।।