শেখ নুরুল আবছার নিসু,ব্যূরো প্রধান,চট্রগ্রাম।
আগামী বছর কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন বলে ই’ঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোলতান বিন সাদ আল-মুরাইখি।
আজ সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দোহায় বাংলাদেশ ও কাতারের দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠক হয়।বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কাতারের আমিরকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পুনর্ব্যক্ত করা হয়।বৈঠকের খবর দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে শিল্প খাতের অগ্রগতির প্রে’ক্ষাপটে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত এলএনজি সরবরাহের বিষয় বিবেচনা করতে কাতারের মন্ত্রীর প্রতি অনুরো’ধ জানিয়েছেন শাহরিয়ার আলম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবারের বৈঠকে মানবসম্পদ উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপ’ত্তা, ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, কূটনীতিকদের জন্য ভিসা সহজিকরণ, শিক্ষাস্বাস্থ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও সিভিল এভিয়েশন খাতে সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব দিক নিয়ে আ’লোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশের হাই টেক পার্ক, অর্থনৈতিক অঞ্চল, নির্মাণ ও জ্বালানি খাতে বিনি’য়োগে বাড়াতে কাতারকে অনুরো’ধ করেছেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে বলেছেন কাতারের প্রতিমন্ত্রী আল-মুরাইখি।
বাংলাদেশ থেকে নার্স, চিকিৎসাকর্মী ও কারিগরি কর্মী নিতে আগ্রহের কথা বৈঠকে জানিয়েছে কাতার।বাংলাদেশ ও কাতারের কূটনৈতিক, সরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষ পাসপোর্টধারীদের ভিসা ছাড়া প্রবে’শাধিকারের বিষয়ে একটি চু’ক্তিতে সই করেছেন দুই প্রতিমন্ত্রী।
একইস’ঙ্গে ভবিষ্যতে দ্বৈ’তকর প্রত্যাহার, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা, আই’নি বিষয়ে সহায়তার বিষয়ে চু’ক্তির পাশাপাশি শিক্ষা এবং ওয়াকফ ও ইসলামী বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করতে বৈঠকে একমত হয়েছে দেই দেশ। দুই দেশের মধ্যে দ্বিতী’য় ফরে’ইন অফিস কনসালটেশনের ধারাবাহিকতায় আগামী বছর ঢাকায় পরবর্তী সভা হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।