বিশ্বের প্রতিটি দেশে বিরাজ করবে পরম শান্তি-এই অমিয় প্রত্যাশায় আজ দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব শান্তি দিবস।পৃথিবী থেকে যুদ্ধ, হিংসা, আগ্নেয়াস্ত্র প্রয়োগের মতো ঘটনা মুছে ফেলতেই প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘রিকভারিং বেটার ফর অ্যান ইকুইটেবল অ্যান্ড সাসটেইনেবল ওয়ার্ল্ড’ বা ‘একটি স্থিতিশীল ও সমতার বিশ্বের জন্য আরও ভালো অবস্থার পুনরুদ্ধার’। জাতিভেদ দূর করে শান্তি আনা হচ্ছে এই বছরের বিশ্ব শান্তি দিবসের থিম।
১৯৮২ সাল থেকে এই দিনটি পালন করে আসা হচ্ছে। একটি যুদ্ধবিহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠার (যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই স্লোগানে) লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব অনুসারে প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনটিকে বিশ্ব শান্তি দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে, ২০০১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব অনুসারে ২০০২ সাল থেকে প্রতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর দিবসটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রত্যেক দেশে দুই মিনিটের নীরবতা পালন করা হবে। চলবে শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম।
এই দিনটি আমাদের স্মরণ করায় এই পৃথিবীটাই আমাদের বাসভূমি, এখানে থাকতে হলে শান্তিতে, বন্ধুত্বপূর্ণভাবে, সকলের সঙ্গে সকলের সদ্ভাব বজায় রেখেই চলতে হবে। আর যে বিশ্বে শান্তি নেই সেখানে থাকা যায় না। ফলে ভালো করে থাকতে চাইলে পৃথিবীতে শান্তি বজায় রাখা খুবই জরুরি।
দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে বিশ্ব শান্তি দিবসের ২৪ ঘণ্টা বিশ্বের সব প্রান্তে যুদ্ধবিরতি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। যুদ্ধ নয় শান্তি শ্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিতে জাতিসংঘের আহ্বানে দিবসটি পালিত হয়। জাতিসংঘ-ঘোষিত এই আন্তর্জাতিক দিবসটি পালিত হয প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর। দিবসটির উদ্দেশ্য হলো পৃথিবী থেকে যুদ্ধ ও সংঘাত চিরতরে নিরসন এবং সেই লক্ষে পৃথিবীর যুদ্ধরত অঞ্চলসমূহে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে সেসব অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।
দিবসটি উপলক্ষে জেএমআই গ্রুপ র্যালিসহ নানা কর্মসূচি পালন করে।