আলোর ঠিকানা
যেদিকে তাকাই কেবলি মনে হয়,
পৃথিবী কাব্যময়!
শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি,
দেখিনি-চিত্রকর দেখিনি সেই কবি!
সৃষ্টির আদি হতে যত লিখা তার,
কোথাও পূর্ণতা নেই,
সে যেনো বিস্ময়কর এক ছোট-গল্পকার!
তারই অসমাপ্ত নক্সী কাথা,
স্বপ্নময় রূপকথা,
তন্দ্রাচ্ছন্ন স্বপ্নের ঘোর;
রয়েছে সে? অথচ কোথায়? মেলেনি উত্তর!
দেখেছি নীলপদ্ম জল-ভরা দীঘি,
দেখেছি ঈন্দ্রনীলা,
দেখেছি বিজন দুপুরে গোধূলি বেলা!
দেখেছি অন্ধ কবির খেয়ালি বুনন,
দেখেছি শ্রান্ত ঘুমের ভেতরে নির্দয় তন্দ্রা হরণ!
সহস্র নির্ঘুম নক্ষত্রের দেশ, নির্ঘুম রাতের তারায়,
যেদিকে চোখ যায়,
দেখেছি তাঁরই তুলিতে আঁকা অনন্ত বিস্ময়!
দেখেছি সবুজে দাবানল, শুনেছি কোলাহল,
গিরি মরু সাগর দ্বীপে পিগমীদের অদ্ভুত লোকালয়!
দেখেছি বজ্রপাত,
দেখেছি উর্বর পলিতে-বুনন নিপাট অভিসম্পাত!
অযুত শতাব্দীর বুকের ভেতরে দেখেছি কারুকাজ,
শিল্পিত সাজসজ্জা ;
কে সে? উত্তর নেই! সেকি কেবলই লজ্জা?
অনন্ত ঘোমটা পড়া, আড়ালে থেকে-
আমাকে যেতে-বলেছে দীপ্ত আলোর দিকে!
আমিও আলোর দিকেই যেতে চাই!
অথচ, চারদিকে অন্ধকার, কোথাও আলো নাই!
যতটুকু আলো-দেখেছি পৃথিবীর দিগন্ত জুড়ে,
সেটুকু পেয়েছি-কেবল আমারই বুকের ভেতরে!
সেই থেকে তাকিয়ে থাকি মানুষের বুকে,
অতল তৃপ্তে আন্দোলিত হই মরমী সুখে!
মুখে নয় চোখে নয়, দেখিনি লাবণ্যের ভেতরে,
অনন্ত আলোর ঠিকানা-দেখেছি
কেবলই বুক জুড়ে!