নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো.সুমন হোসেনের বিরুদ্ধে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে বসতঘরের মালপত্র ক্রোকের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের বেলাল হুজুরের বাড়ির সৌদি প্রবাসী ওমর ফারুকের স্ত্রীর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী বিবি কুলসুম পারুল (৩০) বলেন, তার স্বামী ২০১৬ সালের উপজেলার চাপরাশিরহাট ইসলামী ব্যাংক থেকে ৪লাখ ৯০হাজার টাকা ঋণ নিয়ে দেশে ব্যবসা শুরু করেন। এরপর তার স্বামী বিদেশ চলে গেলে ২০১৯ ঋণখেলাপি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ইসলামী ব্যাংক চাপরাশিরহাট শাখা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত তার স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও মালপত্র ক্রোকের আদেশ দেয়। গত ২ মাস আগে আমরা ব্যাংকের পাওনা ৪লাখ ৭৫ টাকা পরিশোধ করি। এরপর ব্যাংক আরও ২৮হাজার টাকা পাওনা দাবি করলে গত ২৫ জুলাই বাকী ২৮হাজার টাকাও পরিশোধ করা হয়। কিন্তু ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের পর ওই কাগজপত্র এখনো আদালতে গিয়ে পৌঁছায়নি বলে জানান ব্যাংক কর্মকর্তারা।
পারুল অভিযোগ করে আরও বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমার স্বামী সৌদি থেকে দেশে আসে। এমন খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানার এএসআই মো.সুমন হোসেন আরেকজন পুলিশ কনস্টেবলসহ আমাদের বাড়িতে আসেন। ওই সময় আমার স্বামী বাড়িতে না থাকায় আমি তাদেরকে সকল ঘটনা খুলে বলি। এরপর এএসআই সুমন আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ঘর থেকে মালপত্র বাহির করতে উদ্যত হয় এবং ঘরে তালা মেরে দেওয়ার হুমকি দেয়। ওই সময় আমি এএসআই সুমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আদালতের মালপত্র ক্রোকের আদেশ দেখিয়ে বলেন, বেশি কথা বলতে পারবোনা। আমরা এসেছি আপনার সম্পত্তি নেওয়ার জন্য। পরবর্তীতে এ ঘটনা দফারফা করতে সে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। এরপর প্রথমে তাকে ২ হাজার টাকা দেওয়া হয়, না মানলে আরও ৩হাজার টাকাসহ মোট ৫হাজার টাকা নিয়ে সে চলে যায়। এএসআই সুমন আরও বলে প্রথমে টাকা দিয়ে দিলে এতো ঝামেলা হতো না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মো.সুমন হোসেন বলেন,আমি মাল ক্রোকের একটি আদেশ নিয়ে সেখানে যাই সত্য। তবে মাল ক্রোকের ভয় দেখিয়ে কোন অর্থ গ্রহণ করিনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান বলেন,বিষয়টি তার জানা নেই।