সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষণাঃ
বহুল প্রচারিত বঙ্গবাজার পত্রিকায় আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে আজই যোগাযোগ করুন,এছাড়াও আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা, দুর্ঘটনা, দুর্নীতি, ভালো খবর, জন্মদিনের শুভেচ্ছা, নির্বাচনি প্রচারণা, হারানো সংবাদ, প্রাপ্তি সংবাদ, সংর্বধনা, আপনার সন্তানের লেখা কবিতা, ছড়া,গান প্রকাশ করতে যোগাযোগ করুন। ❤️দেশ সেরা পত্রিকা হতে পারে আপনার সহযাত্রী ❤️

কুড়িগ্রামে রাস্তা উঁচু করণ কাজে শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাত করলেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা

  • বঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ প্রকাশিত বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ও রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে প্রভাতি প্রকল্পের রাস্তা উঁচুকরণ কাজে শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, কোভিড-১৯ সময়কালীন গ্রামীণ অর্থনীতিকে সূদৃঢ়করণের লক্ষে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে প্রভাতি প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ও রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা উঁচুকরণ কাজের ৯টি প্রকল্পের অধীনে ২০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা শ্রমিকদের বিল দিতে গড়িমসি করেন। অবশেষে গত ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের চাপের মুখে দুটি মাষ্টার রোল ও দুটি গ্রুপওয়ারী করে টাকার পরিমাণ না বসিয়ে চেকে স্বাক্ষর নিয়ে প্রকল্পের সমুদয় টাকা উত্তোলন করেন উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টগণ। উক্ত টাকার প্রতিটি প্রকল্পের শ্রমিকদের মাঝে ১৫ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকা বিতরণ করেন প্রকল্পের মাঠ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম ও এল,সি,এস অফিসার আমিনুল ইসলাম। টাকা বিতরনের সময় শ্রমিকরা তাদের পাওনা টাকার চেয়ে কম টাকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে শ্রমিকরা মৌখিকভাবে জানালে তিনি পদক্ষেপের আশ্বাস দেন। কিন্তু শ্রমিকরা গত ২মাসেও কোন প্রতিকার না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কয়ার পাড় ৫নং গ্রুপের মঞ্জিনা বেগম জানান, আমি তিন কিস্তিতে ১৭ হাজার ১ শত টাকা পেয়েছি। পাওয়ার কথা ছিল ২৫ হাজার ৫শত টাকা। থানাহাট ইউনিয়নের মঞ্জু বাদশাহর রাইচ মিল হতে আহালুর খেয়াঘাট পর্যন্ত ১নং প্রকল্পের শ্রমিক রাজু মিয়া জানান, তার প্রকল্পের ২১ হাজার টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও তিনি পেয়েছেন ১৫ হাজার টাকা।
প্রতিজন শ্রমিককে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার পর্যন্ত কম দিয়ে সর্বমোট ১০ লক্ষাধিক টাকা উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রভাতি প্রকল্পের এল.সি.এস অফিসার আমিনুল ইসলাম এবং সহকারী মাঠ প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের যোগসাজশে আত্মসাত করেছেন মর্মে শ্রমিকরা জানিয়েছেন। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, শ্রমিকদের পাওনা টাকা মাষ্টার রোলে স্বাক্ষর নিয়ে দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, শ্রমিক অভিযোগ জানালে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই ধরনের আরও খবর

Advertising

আর্কাইভ

আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিন এখানে

জেলা প্রতিনিধি হতে যোগাযোগ করুন

সপ্তাহের সেরা ছবি

© All rights reserved © 2022 bongobazarpatrika.com
Theme Download From ThemesBazar.Com