গল্পটির তিন চরিত্র।
অমল
চপলা
সীমা।
চরিত্র পরিচিতি ।
অমল – প্রাইভেট চাকুরে,খোলামেলা প্রাণবন্ত,হাসিখুশি।
চপলা- তন্বী,স্বাধীনচেতা,গায়িকা।
সীমা- সাদামাটা,ঘরোয়া,রবীন্দ্র অনুরাগী।
গল্প: – অমল একদিন অফিসের কাজ থেকে ফেরার সময় আকাশে বৃষ্টি দেখে,একটা রিক্সা ওয়ালা কে ডাকলো,অন্যদিকে চপলা ও ঐ একই রিক্সা ওয়ালা কে ডাকলো।ওখানে ঐ রিক্সাওয়ালা ই শুধু ছিল।তাই অগত্যা এক ই রিক্সাই দুজনে উঠলো।দুজনেই অচেনা,তাই প্রথম দিন কথা বিশেষ হলো না।আর একদিন অমল ও চপলার বাস সট্যান্ডে হঠাত্ দেখা হলো।দুজনে ঈষত্ হাসলো।দুজনেই কথা বললো,কে কেমন আছে কথা আদান প্রদান হলো।চপলা সুন্দরী,তারপর গায়িকা ,অমল মুগ্ধ হলো চপলাকে দেখে।চপলাও অমলের সঙ্গে সুন্দর ভাবে মিশে গেল।কিন্তু অমল জানতো না যে চপলার আর একজনের সঙ্গে আগে ভালোবাসা ছিলো।চপলা কেন অমলের কাছে চেপে গিয়েছিল ,অমল সেটাও জানতো না।এইভাবে অমল আর চপলা একজন আর একজনের সঙ্গে দেখা করতো,গল্প করতো।খুব হাসিখুশি দিন কাটছিলো তাদের।কিছুদিন পর চপলা অমলকে পাত্তা দিচ্ছিলো না।দেখা করেছিলো না ঠিকমতো।অমল তখন আস্তে আস্তে সব বুঝতে পারলো।দুজনের কথা কাটাকাটি আরম্ভ হলো।চপলা কিছুতেই তার আগের ভালোবাসার কথা অমলের কাছে স্বীকার করছিলো না।একদিন চপলা অমলকে ছেড়ে ঐ আগের ছেলেটির হাত ধরে চলে গেলো।অমল মানসিক অশান্তিতে কষ্ট পাচ্ছিল।একদিন তার সঙ্গে তার পুরোনো বন্ধু সীমার দেখা হলো।সীমা বিবাহিত।পুরোনো বন্ধুকে দেখে সীমা খুব আনন্দিত হলো।কিন্তু অমলকে দেখে সীমা ঠিক বুঝতে পারলো তার বন্ধুর কিছু মনের কষ্ট হচ্ছে।অমলকে জিজ্ঞেস করাতে অমল যেই বলতে গেল,তখনই সীমা ঘটনাটা বুঝতে পারলো।কিন্তু সীমা বন্ধুর কষ্ট দেখে ,চপলার প্রতি অসন্তুষ্ট হলো।সীমা ও অমল খুব ভালো বন্ধু।তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে কিন্তু প্রেমিক,প্রেমিকা তারা নয়।সীমা অমলকে অনেক কষ্টে বুঝিয়ে শান্ত করলো।বন্ধুই,বন্ধুকে সবচেয়ে ভালো বোঝাতে পারে।বিপদে পাশেও থাকে।অমল এখন সমস্ত বুঝে গেছে।সে এখন খুব কঠর।সীমা চায় চপলা অমলের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফিরে আসুক।কিন্তু চপলা একজন প্রকৃত ভালোবাসার মানুষকে কষ্ট দিয়েছে।অমলের ভালোবাসা পবিত্র।কিন্তু চপলা অমলের সঙ্গে শুধুই অভিনয় করেছে।হয়তো চপলা আর কোনদিনও ফিরে আসবে না।তবু ভগবান বলে যদি কিছু থাকে ,একদিন তাকেও এই কষ্ট পেতে হবে।