শেখ নুরুল আবছার,ব্যূরো প্রধান চট্রগ্রাম বিভাগ,বঙ্গবাজার পত্রিকা(পোর্টাল)
বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পুলিশকে দিয়েছে। আদালতের গ্রেফতারী ৈপরোয়ানা বলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় সব ক্ষেত্রেই গ্রেপ্তার মানে হলো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওপর গ্রেপ্তারকারী কর্তৃপক্ষের শারীরিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। সে জন্য তাকে হাতকড়া পরানোর প্রয়োজন হতে পারে।
তবে অপরাধীর ধরনের ওপর নির্ভর করে পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়। আসামির সামাজিক অবস্থান এখানে গুরুত্বপূর্ণ।গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করতে হয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। তাঁকে আদালতে নেওয়া, আদালতের নির্দিষ্ট জেলহাজতে পাঠানো কিংবা পুলিশি হেফাজতে (রিমান্ড) আনা-নেওয়া করতে হয়। কীভাবে তা করতে হবে, তা পুলিশ প্রবিধানে উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ আছে, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির আসামিদের আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে হাতকড়া (হ্যান্ডকাফ) পরাতে হবে। হাতকড়া কখনো দুজন আসামির দুই হাতে এক সেট পরানো হয়। কখনো একজনেরই দুই হাতে এক সেট। ক্ষেত্রবিশেষে হাত দুটো পেছন দিকে নিয়ে হাতকড়া পরানো হয়। আবার অনেককে গাড়িতে চড়িয়ে খোলা হাত–পায়ে করা হয় আনা-নেওয়া। ব্যাপারটি অনেকটা পুলিশের ইচ্ছার বিষয়। তবে ইচ্ছাটার যৌক্তিক ভিত্তি থাকা উচিত। অনেক ক্ষেত্রে সেটা দেখা যায় না। সেটা হয় পীড়াদায়ক। কেননা, কাউকে হাতকড়া পরালে তিনি নিগৃহীত বিবেচ্য হন। তাই এখানে বিবেচনাবোধকে গুরুত্ব দেওয়া সঙ্গত।
তুচ্ছ ও অনির্ভরযোগ্য অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি, যিনি গ্রেপ্তার এড়াতে শক্তি প্রয়োগ করবেন না, যাঁর সামাজিক মর্যাদা রয়েছে এমন ব্যক্তিদেরও কখনো কখনো হাতকড়া পরাতে দেখা যায়।
সম্প্রতি জোরারগন্জ থানার বারইয়াহাটের রাজনৈতিক হিসাবে পরিচিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ হিঙ্গুলীর সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রকাশ শাহরিয়ার চৌধুরী সোহেলকে কোমরে রশি বেঁধে প্রকাশ্যে যেভাবে মিডিয়ার প্রকাশ করা হয়েছে তা রীতিমত সচেতন মহলের দৃষ্টিকটু হিসাবে মনে হয়েছে জানিনা কতটুকু দূধর্ষ প্রকৃতির মানুষটি।একজন মানুষের ওয়ারেন্ট থাকতে পারে গ্রেফতার করারও এখতিয়ার পুলিশ প্রশাসনের রয়েছে কিন্তু এহেন আচরন একেবারে কোমরে রশি বেঁধে কোন খুনের আসামীর সাথেও এরূপ বৈরিতা অবশ্যই কোন সচেতন মহল সহজভাবে মেনে নিতে পারেন না।পুলিশ প্রশাসন হলো মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাসের প্রতীক।কিন্তু সেখানে যদি বিচারের নামে অবিচার করা হয় তাহলে সেখানে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ব্যতীত আর কিইবা করার আছে?আমি জোরারগন্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব,মো:নুর হোসেন মামুন স্যারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।পুলিশ মানুষকে গ্রেফতার করতে পারবে অবশ্যই পারেন কিন্তু সম্মানহানি কতটুকুন যুক্তিযুক্ত তাহা সচেতন মহল অবশ্যই অবলোকন করেছেন এবং তার একটু খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি।