তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে চাহিদার তুলনাই ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেশি ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে। এই অর্থবছরে অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে ২৩ লাখ টন। দেশে উৎপাদন হয় ২ লাখ ৫০ হাজার টন। আর দেশে বছরে মোট ভোজ্যতেলের চাহিদা ২২ লাখ টন।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এদিন ১৫১ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল। গত মাসে যা ১৪৫ থেকে ১৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শনিবার ১৩৭ টাকা থেকে ১৪২ টাকা বিক্রি হয়েছে প্রতি পাম তেল, গত মাসে যা বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা থেকে ১৩৫ টাকায়।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী মো. মজিদুল ইসলাম জানান, গত এক মাসের ব্যবধানে লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১০ টাকা আর পাম অয়েলের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। তেলের কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণে দেশেও বেড়েছে।
আরেক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, মাস খানেক আগে ২৯ হাজার টাকা ছিল ২০৪ লিটারের এক ব্যারেল খোলা সয়াবিন তেলের দাম। অর্থাৎ লিটারপ্রতি ছিল ১৪২ টাকা ১৬ পয়সা। বর্তমানে এক ব্যারেল সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে ৩১ হাজার টাকায়। লিটারপ্রতি পড়ছে ১৫১ টাকা ৯৬ পয়সা। আগে এক ব্যারেলপ্রতি পাম তেলের দাম ছিল ২৫ হাজার টাকা। এ হিসাবে লিটারপ্রতি দাম পড়ত ১২২ টাকা ৫৫ পয়সা। বর্তমানে প্রতি ব্যারেল বিক্রি হচ্ছে ২৯ হাজার ৭৫০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি ব্যারেলে দাম বেড়েছে ৪ হাজার ৭৫০ টাকা, লিটারে বেড়েছে ২৩ টাকা ২৮ পয়সা।
সিটি, মেঘনা, এস আলম, টিকে, শবনম, বসুন্ধরা ও বাটারফ্লাই গ্রুপসহ দেশের বাজারে হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানি ভোজ্যতেল সরবরাহ করে। আগে এস আলম গ্রুপ পণ্য সরবরাহ না করেই অপেক্ষাকৃত কম দামে এসও (সরবরাহ আদেশ) বিক্রি করত। এখন কোম্পানিটির আমদানির পরিমাণ কমে গেছে।
তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) রেদোয়ানুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববাজারে পাম তেলের দামে রেকর্ড হয়েছে। গত ২০ বছরের ইতিহাসে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলকে টপকে গেছে পাম তেলের দাম। বিশ্ববাজারে প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ ডলারে এবং পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১২৫ ডলারে।’
তিনি বলেন, ‘সরবরাহ সংকট হলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পণ্যের সরবরাহ বেশি থাকলে দাম বাড়ার কোনও সুযোগ থাকে না।’