এ বিষয়ে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করতে গিয়ে ডিপজল বলেছেন, ‘শাকিব তিন স্ত্রী নিয়ে থাকুক, নয়তো দেশ ছেড়ে চলে যাক।’
এ অভিনেতা বলেন, ‘মুসলমান হিসেবে একজন চারটি বিয়ে করতে পারে। বিয়ে করছে তাতে কিছু যায়-আসে না। শুনলাম ও (শাকিব) ৩টা বিয়ে করেছে। আমি মনে করি তিনজনকেই স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। এগুলো নিয়ে আর বিতর্ক না ছড়ানোই ভালো। কারণ ফিল্মের মানুষদের নিয়ে কথা বেশি হয়। আমি শাকিবকে বলব— এটি নিয়ে যেন আর বাড়াবাড়ি না হয়। বাড়াবাড়ি বলতে ছাড়াছাড়ি যেন না হয়। যে যেখানেই থাকে না কেন, যেন সুন্দরভাবে সব কিছু টিকিয়ে রাখে। ’
শাকিব খানের তিন স্ত্রীর মধ্যে একমাত্র অপু বিশ্বাসকে চেনেন বলে জানান ডিপজল।
ডিপজল বলেন, ’আমার ’কোটি টাকার কাবিন’ সিনেমার মাধ্যমে অপু জীবনে প্রথমবার ফিল্মে কাজ করে। এর আগে একটি ফিল্মে কাজ করেছিল, ছোট চরিত্রে। তবে ওটা না বলাই চলে। কিন্তু
আমার সিনেমা দিয়েই প্রথম নায়িকা হয়েছিল। আর দুজনকে চিনি না।’
অপু-বুবলী ছাড়া অন্যজন কে? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিপজল বলেন, ’এক্সট্রা শিল্পী হিসেবে কাজ করা রাত্রি শাকিবের প্রথম স্ত্রী। অনেক বছর ধরে এমনই শুনে আসছি। দু-একবার এফডিসিতে আমার চোখে পড়েছে। তবে বড় কাজ করেনি ও (রাত্রি)। এক্সট্রা শিল্পী হিসেবেই সবাই চিনে-জানে। মেয়েটা অনেক গরিব। যদি ওকে আউট করে দিতে চায়, তা হলে ব্যাপারটার দ্রুত সুরাহা করে নেওয়াই ভালো। ওকে (রাত্রি) একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিত। রাত্রির ছেলে ওর (শাকিব) রক্তের হয়ে থাকলে অবশ্যই একটা কিছু করে দেওয়া উচিত।’
এর পর ডিপজল বলেন, ’একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করে দেওয়া ঠিক হবে না। ডিএনএ পরীক্ষা করলেই পেয়ে যাবে কার বাচ্চা। সব মেনে নিলে এই মেয়েটা দোষ করল কী? বাচ্চা কী আকাশ ফেটে বের হয়েছে? আমি মনে করি, এটা নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করা ঠিক হবে না। তিনজনকেই সেটআপ করে দিক। তার পর ওর মতো ও (শাকিব) চলুক। আমার মনে হয় বাজে লাইন, বাজে চিন্তা বাদ দিয়ে তিনজনকেই ফ্ল্যাট দিয়ে সুন্দর পরিবেশে রাখা উচিত। তা না হলে শাকিবই এই দেশ থেকে চলে যাক। ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করলে মেয়েগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। তাদের পরিবার আছে। একটা বাচ্চা পালা বিশাল ব্যাপার। হাতি আর বাচ্চা পালা সমান কথা।’