নজরুল ইসলাম টাঙ্গাইল প্রতিনিধি।।
সারাদেশে যখন বোরো ধান কাটার মৌসুম চলছে তখন ধান কাটা শ্রমিকের পারিশ্রমিক নির্ধারণ নিয়ে চলছে মহা দর কষাকষি। এ যেনো কৃষকের মাথায় হাত! এতো দাম উঠেনি শ্রমিকের কোন কালেই, যা এ বছর হয়েছে!
টাঙ্গাইলের বিভিন্ন বড় বড় বাজারগুলোতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শতশত ধান কাটা শ্রমিক এসেছে।কিন্তু তাদের পারিশ্রমিক এতো বেশী হাঁকানো হয়েছে যে, একজন কৃষকের ধান বিক্রি করেও শ্রমিকের মুল্য পরিশোধ করা প্রায় অসম্ভব !
১০০০-১২০০ (এক হাজার-বারশত টাকা) একজন ধানকাটা শ্রমিকের প্রাত্যহিক মজুরি। সেই সাথে তাদের তিনবেলা খাবার ও পান-বিড়ি! সব মিলিয়ে একজন শ্রমিকের পিছনে প্রায় ১৫০০(পনেরশত টাকা) খরচ হচ্ছে প্রতিদিন।
অথচ কৃষকের এক মণ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে সাত থেকে আটশত টাকায়, পরিবহন ব্যয় বাদ দিলে আরও কম দামে বিক্রি করতে হয়।
ধানের বাজার মুল্য সম্পর্কে ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন বলেন, আমরা ধানের ব্যবসা করি। ৭ থেকে ৯শ টাকা মণ কিনছি। বাজার কম! আমরা কি করবো ভাই?
জেলার ঘাটাইলের সাগরদিঘী বাজার ও সখীপুরের বড়চওনা বাজারে একাধিক শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, দ্রব্য-মূল্যের উর্দ্ধগতির কারনে তাদের পরিবারের জোগান মিটাতে এমন পারিশ্রমিক না হলে জীবন চালানো মুশকিল। তাদের কিছু করার নেই।
অনার্সে অধ্যয়নরত পঞ্চগড় থেকে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, ভাই বেশী দাম শুনে আমিও কাজ করতে আসছি। দেখি করতে পারি কি-না?
বিপ্লব নামে পঞ্চগড় থেকে আসা আরেক শ্রমিক বলেন, কিছু করার নাই ভাই! জিনিস-পত্রের যে দাম!
“কৃষকের মরার উপড় খড়ার ঘাঁ” দেখার কেউ নেই। ধানের বাজার মুল্য কম, বৈরী আবহাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ধান ও খর, কোন কোন অঞ্চলে জোঁকের প্রভাব তো আছেই।
ঘাটাইল উপজেলার ভবানীপুর এলাকার কৃষক আবুল কাসেম বলেন, ধান ভাইগা কইরা (অর্ধেক অংশ) দিছি। কামলারা যা কটবো অর্ধেক তার, অর্ধেক আমার!