নাটোর প্রতিনিধি: অব্যাহত তাবদাহের পর অবশেষে শুরু হয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি। সেই সাথে শুরু হয়েছে বজ্রপাত নামক আরেকটি আতঙ্ক। আর সেই বজ্রপাতে গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আজ সকালে (১আগস্ট) নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চায়ের স্টলে আশিক হোসেন (২০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
গতকাল (৩১জুলাই) জেলার সিংড়ায় ক্ষেতে কাজ করা অবস্থায় বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
আজ (১ আগস্ট) সকালে জেলার বাগাতিপাড়ার জামনগর করমদোষী নতুন ব্রিজ সংলগ্ন আব্দুল মালেকের চায়ের স্টলে বজ্রপাতের ঘটনায় একজন নিহত ৭ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
২ নম্বর জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. গোলাম রাব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আশিক একই এলাকার সিহাব উদ্দিনের ছেলে এবং রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানান, আজ সকালে চায়ের স্টলে সিহাব উদ্দিন ও তার ছেলে আশিকসহ ১০ থেকে ১২ জন চা খাচ্ছিলেন। হঠ্যৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই রাজমিস্ত্রী আশিকের মৃত্যু হয়। এসময় সিহাব উদ্দিন, মোমীন, হাফেজ, সারোয়ার, বেলাল, শফিক ও রুপালী বেগম গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে পুঠিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলাম রাব্বানী জানান, সকালে চায়ের স্টলে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে দিকে গতকাল (৩১জুলাই) জেলার সিংড়ায় বজ্রপাতে মিলন আলী(৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার(৩১জুলাই) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কলম ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আজিজ আলীর ছেলে।
কলম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মইনুল হক চুন্নু জানান, দুপুরে কৃষি জমিতে কাজ করছিলেন মিলন আলী ও তাঁর ভাই। এসময় ঐ এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টির এক পর্যায়ে মাঠেই তার ওপর বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে তাঁর ভাই ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।