নুরুল আবছারঃ পটিয়া ঘুরে বুদবুদি ছড়া প্রকৃতির নয়নাভিরাম এই দৃশ্য দেখা পটিয়ার বুদবুদি ছড়ায় পটিয়া শহর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার পূর্বে হাইদগাঁওয়ে বুদবুদির ছড়ার অবস্থান। ছড়ার পাশেই শ্রীমতি খাল। আছে পাহাড়, পাহাড় ঘিরে ঘন সবুজ বন। সবুজের এই সমারোহে হারিয়ে যেতে চাইবে মন। পাহাড়, শাল-গজালি বন, হিম শীতল ঝর্ণা সব মিলিয়ে চমৎকার একটি জায়গা এটি। নিরাপত্তার কোন সমস্যা না থাকায় প্রায়ই পর্যটকের সমাগম থাকে এলাকাটিতে।চট্টগ্রামের পটিয়ার একটি মজার জায়গা বুদবুদির ছড়া। নামটা শুনেই নিশ্চয়ই মনে করছেন জায়গাটি বেশ অদ্ভুত? একটু ভিন্নধর্মী জায়গা তো বটেই কারণ মাটি সামান্য খুড়লেই বুদ বুদ করে বেড়িয়ে আসে গ্যাস। সেই গ্যাসে আগুন জ্বালিয়ে রান্নাও করতে পারবেন আপনি! মজার না ব্যাপারটা? বুনো পথের দুইদিকে ফলের গাছ। লেবু, পেয়ারা সহ নানান ফলের গাছ, ফুলের ঝোপে সাজানো পথ বেয়ে হেঁটে যেতে পারেন অনেক দূর। পাহাড়ি গহীন গিরিপথ পেরিয়ে বুদবুদির ছড়ার অমলিন আনন্দ পেতে হলে রওনা দিন আজই। যারা ট্রেকিং করতে পছন্দ করেন তারা এই পথে যেতে পারেন বান্দরবান।
বুদবুদির ছড়ায় আগে ছিল তেলের খনি। বৃটিশরা যাওয়ার আগে গলিত সিসা দিয়ে বন্ধ করে দেয় খনির মুখ। খনির অংশটিতে মাটির নীচে ছড়িয়ে আছে গ্যাস। এখানে ছড়ার নীচে কোন খনন ছাড়াই বুদ বুদ ওঠে আর এই কারনেই নাম বুদবুদির ছড়া।
যেভাবে যাবেনঃ চট্টগ্রাম শহরের শাহ আমানত ব্রিজ (কর্ণফুলী ৩য় সেতু) থেকে প্রথমে পটিয়ার ডাক বাংলোর মোড়ে নামতে হবে। ডাকবাংলোর মোড় থেকে সিএনজি অটোরিকশায় করে হাইদগাঁও বুদবুদি ছড়া। রাত্রি যাপনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় ফিরতে হবে সন্ধ্যার আগেই। কারণ, সন্ধ্যা নামার আগে না ফিরলে বন্য হাতি, মোরগ কিংবা শেয়ালের দৌরাত্ম উপভোগ করা গেলেও অনেক সময় তা সুখকর নাও হতে পারে।