উল্লাপাড়ার সহকারি শিক্ষক ইকবাল হোসেন, গ্রামের বাড়ি লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের পুর্ব বংকিরাট।
ঢাকায় গ্রেফতার ৩ সহযোগী সহঃ অভিযোগ
প্রশ্ন ফাঁস ও ক্ষুদ্র বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে
পরীক্ষার্থীদের কানে পৌঁছানো এবং চাকরি
পাইয়ে দেয়ার অভিনব কৌসলে কোটি কোটি
টাকার নিয়োগ বানিজ্যের মূল হোতা ইকবাল।
ইকবাল হোসেন একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। বিভিন্ন অপকর্ম ও নারী সংক্রান্ত অভিযোগে ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার হয়েছে। অথচ চাকরিতে বহাল তবিয়তে অবস্হান করছে। উল্লাপাড়া পৌর শহরে বড় পুকুর চালার পশ্চিম পার্শ্বে ইকবাল হোসেনের চার তলা আলিশান বাড়ি মানুষের চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। র্যাবের হাতে গতকাল ঢাকায় আটক হবার পর মিডিয়া সেলের প্রধান প্রেস- মিডিয়া কে ব্রিফিং দিয়েছেন। এদের অভিনব চান্চল্যকর প্রতারণার তথ্য প্রকাশ করেছেন।
ইকবাল হোসেন ২০০৮ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায়। ইতিমধ্যেই নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার হলেও চাকরিতে বহাল তবিয়তে রয়েছে। অধিকাংশ দিনে স্কুলে না গেলেও বেতন ভাতা পাচ্ছে। গ্রেফতার কৃত অন্যান্যরা হলেন রমিজ মৃধা (৩০), নজরুল ইসলাম (৫০) ও মোদাচ্ছের হোসেন (৬২)। ইকবাল হোসেনের বয়স প্রায় ৪২ বছর।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা ও দলনেতা ইকবাল হোসেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন সংগ্রহ করে, লিখিত পরীক্ষা হলে প্রশ্ন সরবরাহ করার সঙ্গে তাদের হাতে প্রশ্ন চলে আসে। আগে থেকেই মেধাবীদের উপস্হিত রাখে, তাদের কাছ থেকে উত্তর লিখে সেই উত্তর কন্টাক্ট করা পরীক্ষার্থীদের কাছে ক্ষুদ্র বেতার যন্ত্রের মাধ্যে পৌঁছানো হয়।
২০১৫ সাল থেকে তাদের এ পথে যাত্রা শুরু হয় আলতাফ হোসেন নামক এক ওস্তাদের সাথে জড়িত হয়ে। আলতাফ হোসেনের বাড়িও উল্লাপাড়ার বড়পাঙ্গাশী ইউনিয়নে। আলতাফ হোসেনের মৃত্যুর পর ইকবাল হোসেন এ চক্রের মূল নেতৃত্বে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা সহ একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে।