সাজ্জাদ হোসেন সাজু(ফরিদপুর প্রতিনিধি)
ফরিদপুরের মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ আবাদে উপযোগী। দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনে ফরিদপুর দ্বিতীয়। ফরিদপুরে তিন ধরনের পেঁয়াজ চাষ হয়। মুড়ি কাটা, হালি ও দানা পেঁয়াজ। সব মিলে এবার জেলায় প্রায় ৪৩ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন।
এ জেলায় উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশজুড়ে সরবরাহ করা হয়। চলতি মৌসুমে ফলন হয়েছে বাম্পার। কিন্তু দাম কম। ফলে ফরিদপুরে পেঁয়াজ চাষিরা ফলনে খুশি হলেও দামে বেজার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুরের নয়টি উপজেলাতেই পেঁয়াজের আবাদ হয়। তার মধ্যে প্রথম সালথা ও দ্বিতীয় নগরকান্দা। এছাড়াও ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন, মধুখালী, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও ফরিদপুর সদরেও ব্যাপক পেঁয়াজের চাষাবাদ হয়। পুরো জেলায় এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষাণ-কৃষাণীরা এখন পেঁয়াজ ক্ষেত নিয়ে পুরোপুরি ব্যস্ত। এপ্রিল মাসেই চাষিদের ঘরে উঠবে নতুন পেঁয়াজ।
বিভিন্ন এলাকার পেঁয়াজ চাষিদের ভাষ্যমতে, পেঁয়াজের রাজধানী সালথা উপজেলা। হালি পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু হয়েছে। দিন পনের পরই শুরু হবে পুরোপুরি। ফলন ভালো হলেও দামে অখুশি কৃষকরা।