বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ায় ফাঁদে ফেলে চাঁদা আদায়কারী চক্রের মুলহোতা সহ চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি। গ্রেফতারকৃতরা হলো বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার সংসারদিঘী এলাকার মোঃ সোহরাফ আলীর ছেলে মোঃ নাসির উদ্দিন (৩৬), একই উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার মোঃ আলমগীর হোসেন ওরফে আলমের স্ত্রী মোছাঃ রুনা আক্তার (৪২), বগুড়া সদর থানার পূর্ব পালশা এলাকার মোঃ ফরহাদ শেখের স্ত্রী মোছাঃ আমেনা খাতুন ওরফে রেশমি (৪০) এবং গাবতলী উপজেলার মহিষাবান সাতঘড়িয়াপাড়া এলাকার মৃত তবিবর রহমানের মেয়ে মোছাঃ সেলিনা আক্তার ঝিনুক ওরফে ঝিনুক মালা (৩৭)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি এক কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন যে, এজাহারনামীয় আসামীগন একই উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজস করে তাহাকে অপহরন পূর্বক আটক রাখিয়া বিভিন্ন ভয়ভীতি, ক্ষতি ও মৃত্যুর ভীতিপ্রদর্শন, হুমকি সহ বলপূর্বক গ্রহন করিয়া গত ইং ১৬/০৩/২০২২ তারিখ সকাল আনুমানিক ১১.০০/১১.৩০ ঘটিকার হইতে ০৫/০৬/২০২২ খ্রিঃ তারিখের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে নগদ ও বিকাশে সর্বমোট ২১,০০,০০০/- (একুশ লক্ষ) টাকা চাঁদা গ্রহন করে।
এ সংক্রান্তে বগুড়া সদর থানায় মামলা রুজু হইলে ডিবি বগুড়া’র একটি চৌকস টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ২৯/০৬/২০২২ খ্রিঃ রাত্রী অনুমান ০৩.০০ ঘটিকা হইতে বিভিন্ন সময়ে বগুড়া জেলার সদর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ফাঁদে ফেলে অপহরণ পূর্বক চাঁদা আদায়কারী চক্রের মূলহোতা সহ ঘটনার সহিত সরাসরি জড়িত এজাহারনামীয় ০৪ (চার) জনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় নগদ ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা। (যাহা বাদীর নিকট হইতে চাঁদা বাবদ গ্রহন করিয়াছিল। ২ (দুই)টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির ইনচার্জ মোঃ সাইহান ওয়ালিউল্লাহ, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায় যে, তাহারা দীর্ঘদিন যাবত যোগসাজসে সমাজের বিভিন্ন সম্মানি ব্যাক্তিদের টার্গেট করে তাদের সাথে বিভিন্ন বাহানায় সখ্যতা গড়ে তুলতো। অতঃপর কৌশলে বিভিন্ন মিথ্যা অজুহাতে ভূক্তভোগিদের আসামীদের ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে নিজেরা নগ্ন/অর্ধনগ্ন হয়ে জোড়পূর্বক ভূক্তভোগিদের সাথে ছবি ও ভিডিও করে রাখতো। পরবর্তীতে উক্ত ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভিতী দেখিয়ে ভূক্তভোগিদের নিকট হতে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন অংকের চাঁদা দাবি/গ্রহন করিয়া আসিতেছিল।
তিনি আরো জানান যে, গ্রেফতারকৃতরা অপহরন, চাঁদাবাজ ও মানব পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃত মোঃ নাছির উদ্দিন ফোঃকাঃবিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন এবং ইতিপূর্বে গ্রেফতারকৃত মোসাঃ রুনা আক্তার (৪২) এর বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে একটি মামলা রহিয়াছে।