সন্ধিকাল
এস.এম. কামরুজ্জামান
বাংলা বর্ষ ও ঋতুরাজ বসন্তের শেষ মাস চৈত্র,
স্বীয় বৈশিষ্টের কারণেই গ্রীষ্মের সাথে হয় মৈত্র।
সূর্যের তীব্র তাপানলে যেন ঋতুরাজ বসন্ত,
হারাতে থাকে তার যৌবন-যৌলশ- রাজত্ব।
চৈত্র মাসে যেমন দেখা দেয় তীব্র তাপদাহ,
বৈশাখ-জৈষ্ঠ্যেও সৃষ্টি হয় তীব্র দাবদাহ।
চৈত্রে যেমন মাঠঘাট ফেটে হয় চৌচির,
প্রচন্ড গরমে পাখিদেরও বেড়ে যায় কিচিরমিচির।
চৈত্র মাসে কৃষকের ঘরে উঠে হরেক ফসল,
রসুন-পেয়াঁজ-মরিচ,আলু-পটল;
,রাইসরিষা ,মশুর,মুগ, খেসারী- কলাই,
কৃষকের মুখে হাসি ফোটে,বেড়ে যায় গৃহস্তের বড়াই;
আবহমান বাংলায় চৈত্রের ফসলকে বলে চৈতালী,
চৈত্রের সাথে গ্রীষ্মের যেন গড়ে উঠে এক মিতালী।
তরমুজ – বাঙিসহ হরেক রকম ফলের সমাহার,
আম,জাম,লিচু,কাঁঠালসহ নানান ফলের বাহার।
৩০শে চৈত্রের সূর্যের অস্তাচলে ঘটে বর্ষবিদায়,
১লা বৈশাখে অরুণোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বর্ষবরণ হয়।
বসন্তের শেষে আসে চৈত্রসংক্রান্তি,
প্রখর তাপে দেহমনে আসে যেন চরম ক্লান্তি।
যদিও সেভাবে আগের মত আর হালখাতা হয় না,
তবুও বাঙালির বর্ষ বিদায় ও বরণে কমতি যায় না।
৩০শে চৈত্র ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
১৩ই এপ্রিল ২০২২ খ্রীস্টাব্দ