“বিদায়”
শেখ নুরুল আবছার নিসু,চট্রগ্রাম বিভাগীয় প্রধান,
বয়স বেডে যাচ্ছে হু হু করে, আকূতি- মিনতি করেও থামানো যাচ্ছে না ঘড়ির কাটাটাকে, এমন অনুভূতিটা কেমন হতে পারে এখনো ঠিক করে বুঝে উঠতে পারিনি, তবে মাঝে মাঝে যখন স্মৃতি নিজের সাথে প্রতারনা করতে চায় তখন কেমন যেন অজানা আশংকায় কেঁপে উঠে শরীর-মন-প্রাণ। তবে কি ধরে নিতে হবে বয়স বাড়ছে? সময়গুলো সত্যি সত্যি হারিয়ে যাচ্ছে জীবন থেকে? শুনেছি যায় দিন সব সময় নাকি ভালো,তাই ভালো দিনের স্মৃতিগুলো যদি মানসপট থেকে হারিয়ে যেতে চায় তবে কি চলে??জীবনে কিছু অপ্রয়োজনীয় তথ্যে ভারী হয়ে যাচ্ছে ডাটাবেজ, সময়ের সাথে সাথে দূর্বল হয়ে আসঁছে প্রসেসর!!আগের মত সবকিছু গভীরভাবে ভাবতে ইচ্ছে করে না, তাই নতুন সিরিজ লিখার অপপ্রয়াস মাত্র।যখন যাই মনে আসুক লিখে ফেলব এতটুকুন সান্তনা বৈ কি!!?তাই পর্বের নাম বিদায়!!
বিদায় শব্দটা জুড়েই মিশে আছে বিষন্নতায়,যেন মন খারাপের বার্তা-বাহক,যে কেউ ? আপনি জানেন বা চিনেন না চলে যাচ্ছে শুনলে হাল্কা অনুভূতি যে হয় তার জবার নেই কিন্তু …আমার স্বভাবটা কিন্তু শেকড় গজানো -টাইপের, যেখানে বসি শেকড় গজিয়ে যায়, হুট করে বদলে যাওয়া একেবারে অপছন্দ, সবার সাথে মিলবে না, ব্যবহারের অযোগ্য হলে ও ব্যবহারের জিনিসগুলো ফেলে দিলে কেমন যেন মায়া লাগে তাই।সেদিন ঘরে দেখলাম বাইরে থেকে অনেকগুলো কলম এনেছি , জমে গেছে গেছে কিন্তু লেখা ও বসেছে না, আবার ফেলেও দিতে পারি না কেমন যেন মায়া লাগে।জানি এটা একটা জড় বস্তু তাকে ও ফেলে দিতে কষ্ট হয়!!? আর এই কারনে হয়তো এই ছোট্র জীবনে অনেক অনেক কষ্টদায়ক বিদায়ের স্মৃতি মানসপটে ভেসে উঠে!! বিদায় তবু ও ভালো থাকার প্রত্যয়ে অবিরত শুভ-কামনা।।