বৃদ্ধাশ্রম”
শেখ নুরুল আবছার নিসু।
বৃদ্ধাশ্রম বাংলাদেশে সর্বপ্রথম কে আবিষ্কার করেছে আমার জানতে ইচ্ছে হয়। আসলে সেই হল বাংলার জমিনের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বপ্রথম অপরাধী।আজকে যদি বৃদ্ধাশ্রম তৈরী কেউ না করতো তবে এদেশের কোনোই সন্তানই চিন্তা করতো না যে মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবে।প্রয়োজনই আবিষ্কার আর আবিস্কার কিন্তু ক্ষতিকারক হওয়া উচিত নয়।আজকে বাংলাদেশে বৃদ্ধাশ্রম তৈরী না করে যদি ঠুন্ডা বা ঠুন্ডী শ্রম তৈরী করতো তবে শুধুমাত্র ঠুন্ডা-ঠুন্ডীরাই ঐ নি:স্বহ ঠুন্ডাশ্রমে যেতে পারতেন তাহলে কোনো সন্তানই কল্পনার জগতে ও আনতে পারতেন না বৃদ্ধাশ্রমে মাতা-পিতাকে রেখে আসতে। আর একটা জিনিস সকলে নিশ্চয়ই অবলোকন করেছেন এই বৃদ্ধাশ্রমে কিন্তু সম্ভ্রান্ত পরিবারের পিতা-মাতাই বেশী স্থান পাচ্ছেন কিন্তু কেন?
প্রশ্নটা কিন্তু যথাযথভাবেই এসে যায়।এখানে সকল বৃদ্ধাশ্রমগুলো তাদের প্রচার প্রসারের জন্য /একটু ভাইরাল হবার জন্য ভালো ভালো পরিবারকে টার্গেট করে থাকে,যাহাকে টার্গেট করে তার সন্তানেরা কেহ সেনা কর্মকর্তা কেহ ডাক্তার কেহ ইন্জিনিয়ার কেহ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর বা কোনো প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা কিন্তু কখনো কোনো স্যাটেলাইট চ্যানেলেও কোনো নিম্নস্তরের বৃদ্ধ লোকবলকে মিডিয়ায় উপস্থাপন করেন্না কিন্তু কেন?আসলে আমাদের দেশে হাজারো গরীব অসহায় মানুষ রয়েছেন কিন্তু তাদেরকে কেহ ভাইরাল করেন না।অতএব,বুঝাই যায় যারা বৃদ্ধাশ্রমের কারিগর বৃদ্ধাশ্রম চালান তারা বা তাদের কিন্তু ইনটেনশন গরীব অসহায় কে নিয়ে নেই।তারা মানবতার জন্য আসলেই মনে হয় করছেন না।লোক দেখানো সেবা আর টিভি চ্যানেল বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক বা ইউটিউবে প্রচার প্রসারের জন্য নিজেরা হামেশা ভাল পরিবারের বৃদ্ধদেরকে টার্গেট করে নিয়ে আসা হয় বলে ধারনা পোষণ করঁছি।
পরিশেষে সরকারকে সাধুবাদ জানাই যে, সরকার বৃদ্ধা মা-বাবাকে শেষ বয়সে একটুখানি হলেও পারিবারিক টেনশন মুক্ত করে যে আইন পাশ করেছেন তাতে অন্তত: আইন-কানুনের প্রতি সামান্য শ্রদ্ধাবোধ করে হলে ও পিতা-মাতার বরণ পোষনের বাধ্যবাধকতায় কথা প্রতিটি সন্তান চিন্তা করছে এবং করতে বাধ্য হচ্ছে এবং হতে বাধ্য হচ্ছে!আবারো সরকার আইন মন্ত্রনালয়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।