মাছ-গোশ ডালভাত
পোলাও কাচ্চি
ক্ষীর পায়েশ শিরনী
ফালুদা লাচ্ছি।হারমনি জোরখাই
খঞ্জনী করতাল
নাইলন সূতা দিয়ে
বুনতে ঝাঁকিজাল।
সুফিগান লোকগান
গাইতে শুনতে
মাটিগুলো কুপিয়ে
বীজগুলো বুনতে।
মা’র কাছে দেখেদেখে
সব পারি রাঁধতে
অবসর পেলেই বসি
গলাখানী সাধতে।
হাস্যরস কৌতুক
গল্প আর কবিতা
আঁকি বসে তুলিতে
কল্পনার ছবিটা।
গ্রামের মেঠোপথে
সাইকেল চালাতে
কাঁচাআম কেটে-কুটে
রোদে দিই ডালাতে।
পারি বসে মজলিসে
হাসাতে খলখল
অতীত স্মরিয়ে দিয়ে
অশ্রুতে টলমল।
পিঁড়ি মোড়া কেদারা
সবখানেই বসতে
লাঙলের ফলা ধরে
কাদামাটি চষতে।
নারিকেল সুপারি
তালগাছে উঠতে
কোমরে খলোই বেঁধে
চরপানে ছুটতে।
সোনালী পাকাধানে
চালাতে কাস্তে
খরতাপা দুপুরে
পুকুরে ভাসতে।
পোকাধরা ফসলে
কীটনাশক ছিটাতে
ওলকচু পাটশাক
লাগাতে ভিটাতে।
বাছুরের রশি ধরে
সরে দিয়ে গালটি
গাভীর ওলান টেনে
ভরে নিই বালতি।
শহরে শ্রমিক আমি
গ্রামে মুন্সি
অলসের ভাত নেই
প্রবাদে শুনছি।
আগাছা ফেলে দিই
বড় হোক গাছটা
আক্দ দিতে পারি
ধুতে পারি লাশটা।
ছেলেমেয়ে আইবুড়ো
সবে পারি মিশতে
শিলপাটা পেতে বসি
ভর্তাটা পিষতে।
ছোটদের স্নেহ আর
বড়দের ভক্তি
আছে তো লোকনিন্দা
সহিবার শক্তি।
শেখাতে চাইনা
চাই শুধু শিখতে
বলতে কম পারি
বেশি পারি লিখতে।
পারি তো সব পারি
পারিনা কোনটা?
তবু কেন বিষাদময়
বেহায়া মনটা?
কোনদিকে দুর্বল
আছে কোন ভুলটা?
একাকী নিশীতে
ভেবে পাইনা কুলটা।