শেখ নুরুল আবছার,বিভাগীয় প্রধান, চট্রগ্রাম
একমাত্র দেশ আমার বাংলাদেশ যেখানে সবকিছুই সম্ভবকর।ধর্ষণ-হত্যা-এগুলো একেবার সস্তা এবং নগণ্য।আমার জন্ম বাংলাদেশে কিন্তু একাধারে ২২ বছর প্রবাসে কাটিয়েছি- এখানকার জীবন আর সেখানকার জীবন আকাশ-পাতাল পার্থক্য।আমরা সবাই গনতন্ত্রের জন্য কত শত সহস্র জীবন পর্যন্ত দিয়েছি-৯০র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছি- রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ করেছি কিন্তু কেন? এহেন গনতন্ত্রের জন্য!! যেখানে হুজুরে ধর্ষণ করে-যেখানে পথচারী ধর্ষণ করে-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরাও প্রভাব খাটিয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের ধর্ষণ-খুন করে- কেন এই গনতন্ত্র!! এসব দেখার জন্য কি গনতন্ত্রের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছিলাম?তার থেকেতো যেখানে রাজতন্ত্র সেখানেই জনতা নিরাপদ-তবে কেন করলাম গনতন্ত্রের জন্য আন্দোলন!! এদেশে কিন্তু মানুষ আইন-কানুনকে ভয় করে না কারন আইন কানুন ও এ দেশে নড়চড় করে অবৈধ হস্তক্ষেপে কিন্তু গালফের আইন-কানুনকে বাংলাদেশের সিরিয়াল কিলাররাও ভয় করে। সেখানে গেলে সবাই ভেদামাছ বা ভেটকী মাছের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় কারন আইন-কানুনকে সহজে খরিদ করা যায় না!! খুনী জেল থেকে বের হবার কোনো সুযোগ নেই। অবৈধ লোকের বিপক্ষে কোর্টে কোনো আইনজীবি কাজ করে না কিন্তু বাংলাদেশে সবই সম্ভব। আইনজীবিরাও জেনে শুনে অবৈধ লোকের পক্ষে আইনি লড়াই করে অঢেল টাকার বিনিময়ে-বিডিআর বিদ্রোহে ৫৮জন সেনা কর্মকর্তাকে খুন করা হয়েছে কিন্তু আমাদের দেশের আইন জীবিরা আসল খুনীদেরকে বাঁচাতে আইনি লড়াই করে। মোটকথা জেনেশুনে ও টাকার বিনিময়ে অপরাধীর পক্ষ নেয়।মানুষের মাঝে নূন্যতম বোধশক্তি কেন উদিত হয় না? যদি কান্ডজ্ঞান থাকতো তবে সত্যিকারের অপরাধীরাও কেমনে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে? আমাদের ঈমানি দায়িত্ব ও আছে যে সত্যের স্বপক্ষে কাজ করা কিন্তু তা করে না কেন এদেশের আইন-আদালত-বিচারক-বিচারালয়-জর্জকোর্ট-হাইকোর্ট-সুপ্রিমকার্ট সবই কেন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে!!?আদৌ কি সম্ভাবনা আছে সঠিক পথ উত্তোরনের নাকি বারংবার দেখে যেতে হবে অসত্য- অসতা-নিৎকৃষ্টতম কাজ গুলোকে নিয়ে এ দেশ এ সমাজ প্রতিনিধিত্ব করে আরো এগিয়ে যাবে বৈতরণীর পাড়ে।