ভাবনার জানালা__________(?)
প্রসঙ্গঃ অপরাধীর কোনো জাত নেই, ধর্ম নেই, দল নেই। একটাই পরিচয়- তিনি “অপরাধী”।
ফিরোজ উদ্ দীন বাদল
লেখক,কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
বরিশাল জেলা আওয়ামিলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বরিশাল- ৪ আসনের (হিজলা- মেহেন্দিগঞ্জ) সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন কেন্দ্রিয় আওয়ামিলীগ। এ বিষয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরে একটি অব্যাহতি পত্র পঙ্কজ দেবনাথকে দেয়া হয়েছে। এর আগে ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডে নাম আসার পর ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথকে সংগঠনের সবধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭ বছর ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন তিনি।
২০১৯ সালে পঙ্কজ দেবনাথের সঙ্গে এক পুলিশ কর্মকর্তার কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে তাকে প্রয়োজনে মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কামাল উদ্দিন খানকে কোপানোর নির্দেশ দিতে শোনা যায়।এ ছাড়াও সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের বিরূদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম- দুর্নীতি ও নৈরাজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, দলীয় সভানেত্রীর ইচ্ছা ছাড়া এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া অন্য কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। যারা আওয়ামিলীগ করেন- তারা নিশ্চয়ই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার প্রতি আস্থাশীল। ধরে নিতে হবে, শেখ হাসিনা যথাসময়ে যথার্থ সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। এর আগে আরেক এমপি গোলাম মাওলা রনির বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।
অভিজ্ঞ মহলের মতে, এমন অবস্থা চলতে থাকলে দলের শৃঙ্খলা ফিরে আসতে বাধ্য। সরকার ও দলের অভ্যন্তরে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি চালু হবে- স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ হবে।
কিন্তু, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামীলীগ দলীয় কতিপয় বন্ধুর প্রতিক্রিয়ায় একটা বিষয় স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে- তারা বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখার চেষ্টা করছেন। খুনের অভিযোগে কারাবন্দী ওসি প্রদীপের বেলায়ও তারা একই দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করেছিলেন। যা মোটেই উচিৎ নয়।
পাঠকপ্রিয় খবর সমুহঃ