ভাবনার জানালা__________(?)
প্রসঙ্গঃ মানবাধিকার লঙ্ঘন যুগে যুগে।
ফিরোজ উদ্ দীন বাদল
রাজনৈতিক এবং সমাজকর্মী
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে তাঁর নিকট সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। অভিযোগ সত্য হলে সে দায় সরকার কে অবশ্যই বহন করতে হবে। এটাই নিয়ম।
বস্তুত, এদেশে মানবাধিকার লংঘনের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ!
১) ত্রিশ লক্ষ মানুষ হত্যা, দু লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন, হাজার হাজার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া এবং অভিযুক্তদের ইনডেমনিটি দেয়া।
২) জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দেয়া।
৩) ৩রা নভেম্বর জেল হত্যাকান্ড। জাতীয় ৪ নেতা হত্যা এবং হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দেয়া।
৪) বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল তাহের বীরোত্তম কে বিনাবিচারে (কোর্ট মার্শালে) ফাঁসি দেয়া।
৫) ২১ টি ক্যু- দেতার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১,৩০০ সেনা সদস্য হত্যা- তদন্ত এবং বিচার না হওয়া।
৬) ১৯৮৮, চট্টগ্রামের লালদিঘির জনসভায় শেখ হাসিনার জনসভায় গুলিবর্ষণ। ৫ জনকে হত্যা। খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টা।
৭) ২০০৪, ২১ আগষ্টের নৃশংস গ্রেনেড হামলা, ২৪ জন নেতাকর্মী হত্যা এবং হামলাকারীদের বিচার না করা।
৮) দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে জঙ্গি হামলা।
৯) ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী দেশব্যাপী সংঘটিত খুন, ধর্ষণ, লুটপাট এর বিচার না হওয়া।
১০) ধর্মীয় সংখ্যালঘু হত্যা, মন্দির – প্যাগোডা, বাড়িঘর ভাংচুর- অগ্নিসংযোগ। বিচার না হওয়া।
পাদটীকাঃ উল্লেখিত বিষয়গুলোও মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। সংশ্লিষ্টরা কেউই এ দায় এড়াতে পারেন না।