মনোয়ার হোসেন মারুফ নিজস্ব সংবাদদাতা
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগরস্থ হযরত সোলায়মান শাহ (রঃ) এর পবিত্র মাজার শরিফটি অবস্থিত। এই মাজারটিতে ১৯৭১/৭২ সাল থেকে নিয়মিতভাবে ওরস পালিত হয়ে আসছে। প্রতিবছর চৈত্র মাসের শেষ দিবসগুলোতে এখানকার ওরসে ভারত-পাকিস্তান ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের ভক্ত সাধকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মাজারের আশেপাশের প্রায় ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা।সেই সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩ লক্ষ লোকের সমাবেশ ঘটে এখানে। মাজারকে কেন্দ্র করে এর দানবাক্সে কোটি কোটি টাকা জমা পড়ে। সেই টাকায় মসজিদ হয, সেই টাকায় কর্মচারীদের বেতনও হয়। মাজারের উন্নয়ন সহ বিভিন্ন খাতে টাকা ব্যায করা হয়। কিন্তু অতীব দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় এই যে, সম্প্রতি একটি সুযোগসন্ধানী চক্রের কুদৃষ্টি পড়েছে মাজারের বিশাল ভুভাগের দিকে। তারা মাজারের উপরের অংশ যেখানে বড় বড় বৃক্ষের নীচে সাধুসব সাধনা ও বিশ্রাম করেন সেই জায়গায় পাকা দালানের দোকান নির্মাণ করছে সান্টু ও দিল মোহাম্মদ নামের দুই ভাই।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পুরাতন একটি কবরের উপর তারা দোকান ঘর নির্মাণ করছে। কবরের চিহ্নকে গুড়িয়ে দিয়ে মাজার এলাকায় অবৈধ দালান ঘর নির্মাতাদের মুখোমুখি হলে তারা বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন বলে দাবি করেন। তারা আরো দাবি করেন রেলের জায়গায় তারা বিল্ডিং নির্মাণ করছেন।
এব্যাপারে উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার বাবুল আক্তারের সাথে কথা বলে জানা যায়, জায়গাটি মাজারের। মাজার কমিটির হাতেই জায়গাটির এতোদিন দখলদারিত্ব ছিল।
এদিকে এলাকাবাসী এই জোরপূর্বক দখল ও নির্মাণ কাজের খবর সাংবাদিকদের দিলে সাংবাদিকরা মাজার এলাকায় ওরসকে সামনে রেখে অস্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করতে দেখতে পান। আর অস্থায়ী দোকান ঘর নির্মানের এই সময়টাকে ব্যবহার করে যুগপৎ স্থায়ী দালান ঘর নির্মানের দিকে ঝুঁকেছে ভুসিদস্যূ চক্রটি।
এব্যাপারে পদাধিকার বলে গোলাপনগর হযরত সোলায়মান শাহ (রঃ) এর মাজারের সভাপতি ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীনেশ সরকারকে দুই ভাই কর্তৃক মাজারের জমি জোরপূর্বক দখল করে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ ও কবর নিশ্চিহ্ন করণ এর বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি প্রতিবেদকের বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে মর্মে আশ্বাস দেন।