শেখ নুরুল আবছার,নিজস্ব প্রতিবেদক
নতুন করে দাম না বাড়লেও নগরীর বাজারগুলোতে আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শাক সবজি ও মাছ। সবজি-মাছের পাশাপাশি ডিম, তেল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের দামে নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।
শুক্রবার, (০৮ এপ্রিল) নগরীর রিয়জদ্দিন বাজার, কাজিরদেউড়ি কাঁচাবাজার বক্সির,হাট কাঁচাবাজার আড়ৎ ও পাইকারি দোকান ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। বাজারের বিক্রেতারা বলেন, পাইকারি বাজার থেকেই এসব সবজি ও মাছ কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। যার ফলে খুচরা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। খুব দ্রুত দাম কমার সম্ভাবনাও নেই। তবে ঘুরে এ চিত্র দেখা বাজারে পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও কেন দাম বেড়েই চলেছে তার কোনো সদুত্তরও নেই তাদের কাছে।বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বড় রুই ৩০০-৩৫০ টাকা, মাঝারি রুই ২৫০-২৮০ টাকা, কাতল ২৫০-৩০০ টাকা, বড় পাঙ্গাশ ২০০-২৫০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৬৫০-৭৫০ টাকা ও শিং ৪৫০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ যথাক্রমে ৮০০, ১০০০ ও ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, গোলআলু, টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, কচুরলতি, ঢেঁড়শ, লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, কচু শাকসহ সবধরনের সবজির বাজার আগের মতোই চড়া। ৫০-৭০ টাকা কেজির নিচে নেই কোনো সবজি।
মাংসের বাজারে দেখা যায়, আগের মতোই ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০-২৭০ টাকা, এবং সোনালি মুরগি ২৫০-২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরুর মাংস হাড়সহ ৬৫০ টাকা, হাড় ছাড়া ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।