নিহত আলাউদ্দিন (২৫) আলাউদ্দিন উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চরমজিদ গ্রামের আবদুল হকের ছেলে।
বুধবার (২৭ জুলাই) ভোর রাতের দিকে আলাউদ্দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যায় । এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সেলিম বাজারে ইউপি সদস্য (মেম্বার) কেফায়েত উল্যাহ তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ উঠে।
৭নং পূর্ব চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল বাসার মঞ্জু জানান, নিহ আলাউদ্দিন দুই ছেলের জনক ছিল। মায়ের সঙ্গে আলাউদ্দিনের বিরোধ ছিল। এমন অভিযোগে ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার কেফায়েত তাকে চড় থাপ্পড় দেয়। পরে আলাউদ্দিন বিষপান করে বলে জানা যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেম্বার কেফায়েত উল্যাহ বলেন, আলাউদ্দিন তার মাকে প্রায়ই মারধর করতো। তার মা তার কাছে আম খেতে চাইলে আলাউদ্দিন তার মাকে রিকশা দিয়ে টেনে হিঁছড়ে অনেক দূর নিয়ে যায়। ছেলের এমন আচরণের বিষয়টি তার মা মায়া বেগম আমাকে জানায়। এরপর আলাউদ্দিনের কাছে মায়ের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সে অপরাধ স্বীকার করে। এরপর তাকে মায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। না হলে এ নিয়ে সালিশী বৈঠক বসার হুশিয়ারী দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু সে মায়ের কাছে ক্ষমা না চেয়ে মায়ের সামনে গিয়ে বিষ পান করে। পরে তাকে রাতে ঢাকায় নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের মা মায়া বেগম জানান,তাদের খুব অভাবের সংসার। সে মা-বাবাকে ভরণ পোষণ দেয় না। আলাউদ্দিন তার স্ত্রী নিয়ে আলাদা বাড়ি করে বসবাস করছে। ঈদুল আজহার ১০-১৫ দিন আগে সেলিম চৌধুরী বাজারে তিনি তাকে দেখতে পেয়ে একটি মোরগ আর ২কেজি আম কিনে দিতে বলেন। ওই সময় আলাউদ্দিন তাকে এসব কিনে না দিয়ে টেনে হিঁছড়ে রিকশা দিয়ে অনেক দূর নিয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্যকে আমি অবহিত করি। এর বেশ কয়েকদিন পর বুধবার সন্ধ্যার দিকে ইউপি সদস্য কেপায়েত আলাউদ্দিনকে বাজারে দেখতে পেয়ে আমার কাছে ক্ষমা চাইতে বলে। এ নিয়ে মেম্বার রাগান্বিত হয়ে তাকে শাসিয়ে দেয়। তাৎক্ষণিক সে বাজার থেকে আমাদের বসত ঘরের উঠানে এসে মেম্বারকে বিচার দেওয়ায় কারণ জানতে চেয়ে রাগে ক্ষোভে হাতে থাকা বিষ পান করে।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের মাকে বলা হয়েছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দিতে। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।