শেখ নুরুল আবছার নিসু,ব্যূরো প্রধান,চট্রগ্রাম।
‘আমার বসতঘরে নেই কোন বৈদ্যুতিক সংযোগ, করা হয়না কোন রান্নাবান্না। আগুন লাগার মতোও কোন উপয়ান্ত নেই। যে বসতঘরে আগুন লেগেছে ওই বসতঘরের জানালা খোলা ছিল এবং কিছু খড় ছিল। ওইস্থান থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে দেখেছি। শত্রæতাবশত কেউ আগুন না লাগালে আগুন লাগলো কোত্থেকে? -এমনই প্রশ্ন মিরসরাই উপজেলার ৩ নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সোনাপাহাড় গ্রামের হাজী মজিবুল হকের বাড়ীর মালিক হাজী মজিবুল হকের। বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে তার ৪ কক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা বসতঘরে হঠাৎ দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছি বলে দাবী মজিবুল হকের। এসময় তার প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আগে গত ১৯ জুলাই ভোর ৪ টার দিকে তার বাড়ির সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মস্তাননগর বিশ্বরোড় এলাকায় হাজী মজিবুল হক মার্কেটেও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সেসময় ৪ টি দোকান পুড়ে প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তাদের দাবী বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দাবী মানতে নারাজ বাড়ী ও দোকান মালিক মজিবুল হক। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম।
ক্ষতিগ্রস্ত হাজী মজিবুল হক বলেন, ‘মাত্র ২ সপ্তাহের ব্যবধানে বসতবাড়ি ও দোকানে আগুন লাগার ঘটনা রহস্যজনক। আমার ধারণা দুর্বৃত্তরা আমার দোকান ও বসতঘরে আগুন দিয়েছে। আমি প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ ইমাম হোসেন পাটোয়ারি বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়ে যায় হাজী মজিবুল হকের একটি বসতঘর। ওই বসতঘরের একাংশে ওয়ার্কশপের কিছু মালামাল ছিল এবং একটা লোকও থাকতো। পরে ধোঁয়া দেখে সে বের হয়ে বাড়ীর মালিককে আগুন লাগার বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে আমাদের ২ টি ইউনিট প্রায় ৪০ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।’
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই ভোর ৪ টার দিকে মজিবুল হকের বাড়ির সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মস্তাননগর বিশ্বরোড় এলাকায় হাজী মজিবুল হক মার্কেটেও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সেসময় ৪ টি দোকান পুড়ে প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তাদের দাবী বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলো অর্জুন নাথের এসএ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ওয়ার্কশপ, আমজাদ হোসেনের আমজাদ মোটর্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউসুফের ডেন্টিংয়ের দোকান ও সোহেলের সোহেল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ওয়ার্কশপ।