রমজান মাসে আমাদের নিয়মিত খাদ্যাভাসের একটা বড় পরিবর্তন ঘটে। সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকালের নাস্তা, স্ন্যাকস এসব মিয়মিত খাবারের পরিবর্তে আমরা সেহেরী এবং ইফতারে অভ্যস্ত হয়ে উঠি। সেহেরীতে ঘরোয়া খাবার খেলেও ইফতারে আমারা বেশিরভাগ সময়ই ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত খাবার বা রিচফুড খেয়ে থাকি। পিয়াজু, বেগুনী, আলুর চপ, হালিম এসব আমাদের ইফতারের ঐতিহ্য। কিন্তু সারাদিন রোজা রেখে সরাসরি ভাজাপোড়া খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই আমারা যদি একটু সচেতন হই তাহলে ইবাদতের পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা অত্যন্ত সহজ। ইফতারে ভাজা, তৈলাক্ত খাবার পরিহার করে বা কমিয়ে এনে আমরা ড্রাই ফ্রুটস, বাদাম, ওটস, তাজা ফল এগুলোর সমাহরে ইফতার সাজাতে পারি।
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন ৫০ গ্রাম ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো। আমদের মিক্সড ড্রাই ফ্রুট এ কাজু, পেস্তা, আখরোট সহ ২১ টি আইটেম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
বাদামে থাকা ভিটামিন, মিনারেলস এবং ফাইবার সহজেই আমাদের শরীরে পুষ্টি যোগায়। ড্রাই ফ্রুটসে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক শর্করা উপস্থিত থাকে। ফলে এটা ইন্সট্যান্ট শর্করা তথা ক্যালোরির আধার। যা সারাদিন রোজার শেষে আপানাকে সহজেই শক্তি দেবে।
ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে অন্যতম উপাদান হলো কিশমিশ। কিশমিশ অনেক রোগের হাত থেকে শরীরকে বাঁচায়। শুকনো আঙুর কিংবা কিশমিশে থাকে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, পটাশিয়াম এবং নানা হেলথ ইম্প্রুভিং ফ্যাক্টর। কিশমিশ রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণ করে।
অন্যদিকে, শুকনো খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, পটাসিয়াম এবং বিটা ক্যারোটিন। এর সাথেই এতে উপস্থিত থাকে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে। মিষ্টি স্বাদের খেজুরে উপস্থিত থাকে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, পটাসিয়াম, আয়রন এবং প্রচুর ভেষজ উপাদান।
বাদাম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারি একটা খাবার। এনার্জিতে ভরপুর বাদাম আমাদের পেট দীর্ঘক্ষন ভরা রাখে। ফলে ইফতারে সামান্য বাদাম আমাদের ভাজাপোড়া খাবার থেকে দূরে রাখতে পারে। সেই সাথে সেহেরীরে সামান্য বাদাম থাকলে এনার্জির সাথে সাথে পেট ভরা অনুভুতি থাকবে দির্ঘক্ষন।
অতিরিক্ত ওজনের জন্য যারা ডায়েট করছেন বা পরিমিত আহার করেন তারা মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারেন ইফতারে বা সেহেরীতে। প্রথাগত অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিয়ে নিরাপদ এবং স্বাস্থকর খাবার আপনার ডায়েটে সহায়তা করবে। তাই পিয়াজি, বেগুনি না খেয়ে ওটস এর সাথে মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারেন। সাথে থাকতে পারে তরল দুধ বা দই। মিক্সড ফ্রুটে থাকা খেজুর, কিসমিসের জন্য বারতি মিষ্টি প্রয়োজনও হবে না।