নুরুল আবছার, নিজস্ব প্রতিবেদক
রিকশায় যে মেয়েটা বসে আছে তার নাম সাদিয়া আফরিন,,, হারিছা।এবার মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। মেয়েটার বাবা একজন রিকশা চালক। রিকশা চালকের মেয়ে এমবিবিএস ডাক্তার হবে কারণ মেয়েটা অদম্য মেধা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে।
মেয়েটা বার বার গর্ব করে বলে আমার বাবা রিকশা চালিয়ে আমার পড়াশোনা চালিয়েছেন।বাবার সৎ টাকায় পড়াশোনা করেছি। আমি নিজেও সপ্তম শ্রেনী থেকে টিউশনি করেছি। বাবার কাছে চাল কেনার টাকা না থাকলে বাবাকে চাল কেনার টাকা বের করে দিয়েছি টিউশনির টাকা থেকে ।
কী সহজ-সরল স্বীকারোক্তি মেয়েটার !! কী অসাধারণ মানবিক গুণাবলী নিয়ে জন্মগ্রহণ করা একটি মেয়ে।এমন মেয়ের পিতা-মাতাকে স্যালুট!
”রিকশা চালিয়ে বাবা চাল নিয়ে আসতেন দুপুরে,গরম ভাত খেতাম সন্ধ্যায়, ক্লান্ত শরীরে রাতে পড়তে পারতাম না। পড়তে হতো ভোরে।সকালে পান্তাভাত খেয়ে স্কুলে যেতাম, দুপুরে বাবা চাল নিয়ে আসতে দেরি হলে আবার দুপুরেও পান্তাভাত খেতাম।বাবা বাকীতে আমার খাতা, কলম এনে দিত, আমি তাতে লিখতাম। আমি বহুবার প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি।অনেক সার্টিফিকেট আছে তবে ঘরে রাখার মত নিরাপদ জায়গা নেই কারণ আমরা গরীব। মা গর্ভপাত জনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এক রাতে বিল এসেছিল পনেরো হাজার টাকা, বাবা সুদে টাকা এনে সেই টাকার ঋণ শোধ করেছিলেন। তারপর থেকে মনে হয়েছিল, আমি ডাক্তার হব, গরীবদের ফ্রিতে চিকিৎসা করব। আমার প্রতি স্কুল -কলেজের শিক্ষকরা সর্বদা সদায় দৃষ্টি রাখতেন। আমাকে ভালোবাসতেন কারণ আমি সবসময় সবকিছুতে প্রথম হতাম “।
সুন্দর ও নির্মল আগামীর প্রত্যাশা করি এমন মেধাবী তারুণ্যের প্রতি প্রাণের একটি মেয়েকে।
অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল বোন তোমার জন্য ।
এই অদম্য মেধাবীর জন্য অসীম শুভকামনা।
অ নে ক দোয়া রইলো সংগ্রামী পিতা এবং অদম্য মেধাবী কন্যার জন্য। বাবা -মেয়ের মুখ উজ্জ্বল হওয়া কেবলমাত্রই শুরু হল।তোমরা সমাজ ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।