শোকগাথা (সীতাকুণ্ড)।
পারু চৌধুরী।
সীতাকুণ্ড বি এম ডিপোতে জ্বলছে আগুন
আজো নিভানো গেলোনা আগুন
চলছে আহাজারী হাহাকার
স্বামী সন্তান হারানোর ব্যাথা য় জ্বলছে দ্বিগুণ
ধিকি ধিকি জ্বলছে মনের আগুন।
ভারী হয়ে উঠেছে সীতাকুণ্ডের আকাশ বাতাস
বাতাসে লাশের পোড়া গন্ধে হৃদয় পুড়ে ছারখার
জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেল কত আপনজন
স্বামী হারা সন্তান হারা বাবা হারার ক্রন্দন
ক্ষনে ক্ষনে থেমে যাচ্ছে হৃদয়ের স্পন্দন।
কত আশা কত সপ্ন ছাই হয়ে গেল নিমেষে
ফায়ারসার্ভিসের ভাইয়েরাপুড়ে শেষ হলো নিঃশব্দে।
হায়রে জীবন কত সহজে চলে গেল
চোখের পলকে নিঃশেষ হয়ে গেল।
এ কি কন্টিনার ডিপো? নাকি মরনাস্র?
কি ছিলো এই কন্টিনার ডিপোতে?
কে দেবে এর জবাব?
এত গুলো প্রান নাশের জন্যে দায়ী কে?
কত আশা কত সপ্ন এই চাকুরী জন্যে
সন্তানএর মুখ দেখা হলো না সব্জনের।
ওয়ালিওর লাইভে দেখাচছিল আগুন
কিন্তু হায় পরক্ষনেই চলে গেলো সে আগুনে তার জীবন।
কে দেবে সান্তনা তার মা বাবা ভাই বোন কে
অকালে ঝরে গেল একটি সপ্ন একটি আশা।
ক্যামিকেল কনটেইনার এখনো জ্বলছে
জ্বলছে স্বজন হারানোর হৃদয়ে র আগুন।
আর ডিপোর মালিক বলছেন, আমি কিকরতে পারি
আমারও তো হয়েছে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি।
কিন্তু আপনার কি কোন স্বজন দগ্ধ হয়েছে আগুনে
আপনি কি পারবেন স্বজন হারানোর বেদনা বুঝতে।
আপনার হাজার কোটি টাকার অগনিত সম্পদ
আপনি পারবেন সব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে
কিন্তু পারবেন কি অসহায় স্বজনের কান্না থামাতে।
ডিপোর মালিক আপনার ইনসুরেন্স আছে
কোটি টাকার সম্পদ আছে
এই অসহায় মানুষ গুলের কিছু নেই
যে সম্পদ ছিলো সেও গেছে চলে
আর কিছু না পারেন অসহায় মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়ান।
মানবতার জয় হোক আজ হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়েছে
মানবতা এখনো বেঁচে আছে-তাই
অসংখ্য মানুষ দাড়িয়ে ছে তাদের কাছে
কেউ রক্ত দিয়ে, ওষুধ নিয়ে। খাওয়ার নিয়ে
রিকসা গাড়ি সি এনজি সবাই এগিয়ে গেছে
জয় হোক মানবতার।
হে আল্লাহ যাঁরা চলে গেছেন আপনি তাদের শহীদী মৃত্যু দিন
জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন।
আর যারা হাসপাতালে র বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন
তাদের কে আপনার কুদরতি হাতে সুস্থ করে দিন।