রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ঃ প্রতি ইঞ্চি জমির সঠিক
ব্যবহার করতে হবে। কৃষিতে কোন ব্যার্থ চেষ্টা করা যাবে না। আগামীর কৃষি
হবে ব্যানিজ্যিক কৃষি,আগামীর কৃষি হবে টিকে থাকার কৃষি। লবন সহিষ্ণু ফসল
উৎপাদন করতে হবে। চিংড়ী ঘেরের আইল সহ অন্যান্য জমির আইলে সবজি চাষ বৃদ্ধি
করতে হবে। রাস্তার পাশে সজিনা গাছ লাগাতে হবে। তেলের ঘাটতি পূরণে
সূর্যমুখি ও সরিষার চাষ বৃদ্ধি করতে হবে। এসব কথা গুলি সোমবার বিকালে
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত নিজস্ব
হলরুমে কাইমেট-স্মাট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু
পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্প অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা গ্রহণ কর্মশালায় বক্তারা
বলছিলেন। বক্তারা আরো বলেন শ্যামনগর উপজেলায় ১২০টির অধিক খাল রয়েছে
যেগুলি পুনঃ খনন করে মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করা ও উন্মুক্ত করা হলে কৃষকরা
ব্যাপকভাবে ফসল উৎপাদন করতে পারবে। বক্তারা জমিতে জৈব সার ব্যবহার
বৃদ্ধি, বস্তা পদ্ধতি,টাওয়ার পদ্ধতি,পলি মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করা সহ
অন্যান্য বিষয়ে বলেন।
জানা যায়, প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে কৃষি উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিসহ
ফসলের বৈচিত্রায়ন। সুনিদিষ্ট উদ্দেশ্য সমূহ হচ্ছে কাইমেট-স্মাট প্রযুক্তি
ব্যবহার ও পতিত জমি চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় ফসলের
নিবিড়তা ১৭০% থেকে ১৭৫% এ উন্নীত করণ, স্থানীয় অভিঘাত সহনশীল টেকসই জাত
সম্প্রসারণ ও অভিযোজন কৌশলের মাধ্যমে ফসলের বৈচিত্রায়ন সহ অন্যান্য
উদ্দেশ্য ।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক
দোলন। কর্মশালায় কী নোট স্পিকার ছিলেন কাইমেট-স্মাট প্রযুক্তির মাধ্যমে
খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক
শেখ ফজলুল হক মনি। উপজেলা কৃষি অফিসার এস এম এনামুল ইসলামের সঞ্চালনায়
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা
আইয়ুব ডলি। বক্তব্য রাখেন মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা,
ঈশ^রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড.জি এম শোকর আলী, শিক্ষক রনজিৎ বর্মন,
নকশীকাঁথার পরিচালক চন্দ্রিকা ব্যানার্জী প্রমুখ। সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ,
ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ,
কৃষকবৃন্দ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।