মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী
বাংলাদেশের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয় সংবাদকর্মীদের, এবং জাতির বিবেকও বলা হয়। কিন্তু আজ দেশের সব চেয়ে অবহেলিত হচ্ছে এই কলম যোদ্ধারা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল ক্ষাতকে উন্নয়ন ও সুন্দর অবকাঠামোর মধ্যে নিয়ে এসেছেন, কেনো সারাদেশের অবহেলিত সাংবাদিকদের দিকে আপনার কোন নজর পড়তেছেনা। আজকে যদি এই সংবাদকর্মীদের আপনি সরকারি একটা জায়গায় নিয়ে বসাতেন হয়তো আজ আমরা এতো অবহেলিত থাকতামনা। আপনি আজ দেশের সকল সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা দিগুণ করে দিয়েছেন, আমাদের জন্য কিছুই করলেন না। তাহলে আমরা কি দেশের চতুর্থ স্তম্ভ শুধু মাত্র কি কাগজ কলমে? আপনি আমাদের বেতন দেওয়া লাগবেনা সকল প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতা মূলক করে দেন যেনো সবাই বেতন দেয় এবং যেই হাউজ বেতন দিতে পারবেনা তার ডিগ্লারেশন বাদ।
দুঃখ নিয়ে বলতে হয় আমরা সরকারি ভাবে অবহেলিত আবার প্রতিষ্ঠান থেকেও বঞ্চিত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে আমি কয়েকটা দাবি রাখতেছি, এবং আসা করবো অতি দ্রুত আপনি তা পূরণ করবেন, সর্ব প্রথম আপনি আমাদেরকে লাইসেন্সকৃত পিস্তল ব্যবহার করার আইন পাশ করবেন, কারণ হচ্ছে বর্তমান যোগে সংবাদকর্মীদের এইটা খুবিই প্রয়োজন, এটা হলে আমারা নিজেদের আত্মরক্ষার্থে এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে সহজ হবে, দেশে যেই হারে সন্ত্রাসীরা খুন ঘুমে লিপ্ত হয়েছে একজন সংবাদকর্মীও নিরাপদ নয়। এতে দেশ থেকে সন্ত্রাস, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে বিশাল ভূমিকা রাখবে। আর যেখানে আমাদের উপরের স্তম্ভ ও নিছের অনেক স্তম্ভ পিস্তল ব্যবহারে বৈধতা আছে আমরা কেনো পাবোনা? যেখানে একজন জেলা প্রতিনিধি ডিসির ক্ষমতা রাখে সেখানে কেনো পিস্তল ব্যবহার করতে পারবেনা, ব্যবধানতো শুধু এত টুকু বিসিএস ক্যাডার আর নন বিসিএস ক্যাডার, গভমেন্ট পরিচালিত নন গভমেন্ট পরিচালিত। তবে সবাইকে নয় যারা সরকারি মিডিয়া তালিকা ভুক্ত অনলাইন হোক আর যেটাই হোক xyz প্রতিষ্ঠানের শুধু জেলা প্রতিনিধিরা পিস্তল ব্যবহার করতে পারবে এমন সিদ্ধান্ত দেওয়া হোক।
আর একটা দাবি হলো সংবাদকর্মীদের গাড়িতে ফায়ার এলার্ম বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয় যেনো, সেটার কারণ হলো আমরা ইমার্জেন্সি কোন কাজে বা প্রোগ্রামে যেতে হলে অনেক সময় রাস্তায় জ্যামের মুখোমুখি হতে হয়। তখন আমরা আর সময় মত যেতে পারিনা, উদাহরণ স্বরুপ গত রমজান মাসে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে ভয়াবহ আগুন লাগে, সেখানে কিন্তু আপডেট দেওয়ার জন্য বা লাইভ টেলিকাস্ট করার জন্য সাংবাদিকরা যেতেই হবে, কিন্তু জ্যামের কারণে অনেকে যেতে পারেননি, ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি গুলো এলার্ম দিয়ে চলে যাচ্ছে আর সাংবাদিকরা যাওয়ার কোন সুযোগ নাই, যেতে গেলে পাবলিকের বাঁধা, তখন যদি আমাদের গাড়িতেও এলার্ম থাকতো তাহলে আমরাও বিনা বাঁধায় চলে যেতে পারতাম। ওয়াকিটকিয়ার কথা নাই বলি কারণ সেটা লাইসেন্স করে ব্যবহার করা যায়।
সব শেষ বলবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের এই যুক্তিক দাবি গুলো অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন বলে আমি আশাবাদী।
পাঠকপ্রিয় খবর সমুহঃ