রুবেল আহমেদঃ
সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার ১ নম্বর কায়েমপুর ইউনিয়নের বলদীপাড়া-হলদীঘর গ্রামের শতবর্ষীয় ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্প না করার অনুরোধ জানিয়ে ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের পক্ষ থেকে গ্রিন ভয়েসের সমন্বয়কারী আলমগীর কবীরের সই করা বিবৃতিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।
বিবৃতি দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী ও বাপার সভাপতি সুলতানা কামাল ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বিবৃতিতে তারা ওই অনুরোধের পাশাপাশি রোববার (২১ আগষ্ট) প্রশাসনের উপস্থিতিতে সহিংসতা, দুস্কৃতিকারীদের দ্বারা স্থানীয় জনগণের হয়রানি ও আহত হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া, স্থানীয় এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃত নারীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
খেলার মাঠটিতে দীর্ঘদিন ধরে শাহজাদপুর উপজেলার ১ নম্বর কায়েমপুর ইউনিয়নের ৫-৬টি গ্রামের শিশু-কিশোর ও যুবকরা খেলাধুলা করে আসছে। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজনও এ মাঠে করা হয়ে থাকে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শিশু-কিশোরদের জন্য একমাত্র খেলার মাঠ হিসেবে এ মাঠের গুরুত্ব অপরিসীম।
এলাকাবাসীর প্রাণপ্রিয় মাঠ রক্ষার যৌক্তিক দাবিতে বাধ সাধে প্রশাসন ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থাকা কতিপয় দুস্কৃতিকারী ব্যক্তি। যারা নারী, শিশু-কিশোর ও সাধারণ জনগণের ওপর হামলা চালান। ওই হামলায় অন্তত ৫-৭ জন নারী, শিশু-কিশোর, সাধারণ জনগণসহ প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা আহত হন।’
বিবৃতিদাতারা বলেন, এ হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০০-১২০ জনের বিরুদ্ধে একটি হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাত নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।