শেখ নুরুল আবছার নিসু, চট্রগ্রাম বিভাগীয় প্রধানঃ এই গল্প যেন সিনেমার কাহিনিকেও হার মানিয়েছে!!! সিলেটের বন্যায় এক ফ্যামেলির ৭ জনের জীবন কেঁড়ে নিয়ো গেলো।
প্রথমে তারা বুঝতে পারেনি পানি এত বাড়বে! হাটু সমান ছিলো পানি। রাত যতই গভির হচ্ছিলো পানিও বাড়ছিলো। সবকিছু গুছিয়ে তারা খাটের উপর বসে ছিলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই খাট পানিতে তলিয়ে যায়। অন্যরুমের খাট এনে ডুবে থাকা খাটের উপর রাখা হয় এবং তারা দ্বিতীয় খাটের উপর অবস্থান করে!
এর প্রায় ঘন্টাখানেকের মধ্যেই দ্বিতীয় খাটটিতেও পানি উঠে যায়। এবার তারা চেয়ার, ট্রাংক, চালের ড্রামের উপর কোনরকম বসে থাকে। শেষরাতের দিকে তাও পানিতে তলিয়ে যায়। একবারের জন্যও তারা ভাবেনি ঘর থেকে বের হতে হবে। যখন দরজা দিয়ে বের হতে যাবে তখন দেখে ঘরের চাল তাদের মাথা ছুঁই ছুঁই। কোনভাবেই বের হওয়া সম্ভব না। ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলোকে কোনরকম বাহিরে পাঠাতে পারলেও হয়তো তারা বেঁচে যেতো। কিন্তু তাও সম্ভব হয়নি। অবশেষে এক পরিবারের সাতজন একসাথে মৃত্যুবরন করেন!
তাদের লাশও কেউ খুজে পায়নি। আজ সকালে পানির বেগ কিছুটা কমে এলে লাশগুলোকে উদ্ধার করে কর্মীরা। এবং তাদের ঘরের পজিশন দেখে এমনটাই ধারনা করা হয়।