শেখ নুরুল আবছার,ব্যূরো চীপ, চট্রগ্রাম ডিভিশন,বঙ্গবাজার পত্রিকা (পোর্টাল)।
সারা দোজাহানে কর্মজীবি নারীদের প্রায়শই বা যত্রতত্র যৌন হয়রানির স্বীকার হতে হয়।এটা যেন প্রতিনিয়তই হতে চলেছে। নারী-পুরুষের সংমিশ্রনে যখন কাজ করতে হয় আর তখনই পুরুষ নামক সুপ্ত মনে গুপ্ত যৌন উত্তেজক বা যৌন নিপীড়ক তার বাহু বন্ধনে নারীদের ভোগ্য পণ্য মনে করে বরাবরই যৌন নিপীড়ন করে থাকে। আর এ অবস্থায় নারীদের ৯৯% ধরাশায়ী হয়ে পড়ে। ভীত, নারীরা চাকূরী হারানোর ভয়ে বা পদোন্নতির ভয়ে মূখ বুজে অনেক কিছু নীরবে সহ্য করে যায়। নীরবে নিভৃতে চোখের জ্বলে একাকার ভুক্তভোগী নারীদের অনেকেই। না পারছে বলতে, আর না পারছে সইতে, অনেকেই স্বামীর সংসারে হ্রদয়ের অভ্যন্তরে গচ্ছিত রাখা দুষ্ট চক্রের মিষ্টি থাবায় কংকালসার হয়ে নীরবে চোখের জ্বলে দিবানিশি পার করে। ওরা বলাতে পারে না, বলতে জানে না,সময় অসময়ে নারীরা নির্বোধ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এহেন নারীদের হ্রদয়ের গহীনে লুকিয়ে রাখা সম্ভ্রমহানির কথোপকথন হয়তো কেহ জানতে পারে না, কর্ম শেষে এহেন নারীরা যখন ঘরে প্রবেশ করেন তখন শংকিত মনে মনে নিজেকে অপরাধীভাবে, স্বামীর সংসারে স্লথ গতিতে চলে কর্মযজ্ঞ।কাজের শেষে পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে রাত্রি যাপন করতে পারেন না। অনেক নারী বা মহিলা বলার ইচ্ছে থাকলে ও সাহস করতে পারেন না, সংসার বাঁচানোর তাগিদে, স্বামী হারানোর ভয়ে, কেউ বা সন্তান হারানোর ভয়ে। মাত্রারিক্ত টেনশনে লাখো লাখো নারী নীরবে হার্ট এট্যাকের মত বা ব্রেইন হেমারাইজ বা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
আমাদের পুরুষ শাসিত জগতে নারীদের বা মহিলা বা মা-বোনদের ইজ্জত সম্ভ্রমহানির দিকে নর দৃষ্টি যদি নারীদের মা-বোনের দৃষ্টিতে আবদ্ধ করে দেখতো তবে কর্মজীবি নারীরা মনে হয় কর্মজীবনের বসের দ্ধারা বা কূ-নর দৃষ্টি সম্পন্নদের ভয়াল থাবা থেকে অনেকাংশেই মুক্তি পেত।
কর্মজীবি নারীদের যৌন নির্যাতনে বন্ধে সারা বিশ্বে একটা ট্রান্স গঠন করা জরুরী।প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়িক বা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে যদি কর্মজীবি নারীদের সম্ভ্রমহানি রক্ষাত্রে সরকারিভাবে নজরদারি বাড়ানো যায় তাহলে অফিসের বসের হিংস্র থাবা থেকে লাখো লাখো নারী যৌন নির্যাতন বা হয়রানি থেকে বেঁচে যেত। সংসার জীবনে হয়ে উঠতো স্বাবলম্বী এবং শান্তির নির্যাসে পরিপূর্ণতায় ভরে উঠতো প্রতিটি নারীর সংসার জীবন।
আমাদের সমাজের হিংস্র নারী লোভী প্রতিটি বসের প্রতি বিনীত অনুরোধ করবো যে, আপনার অফিসের একজন নারী স্টাফকে যদি আপনার মায়ের আসনে বা মেয়েরে আসনে স্থান দিতে পারতেন তবে কূ-দৃষ্টি বা হীনমন্যতা বা যৌন হয়রানির করার মতো অপরিপক্ক আচরন করার মত মানসিকতা কখনোই সৃষ্টি হতো না।
আমাদের হীনমন্য সমাজের কর্মজীবি নারীরা শুধু এটুকুনই প্রত্যাশা করে- নারীকে ইজ্জত করুন, নারীকে ভাবুন আপনার মা, নারীকে ভাবুন আপনার মেয়ের মতো করে,তবেই আমাদের সমাজ থেকে যৌন নির্যাতন, যৌন হয়রানি বা সম্ভ্রমহানির মত জগন্য মানসিকতা হারিয়ে যাবে বহুদূর- আর এতে করে আমাদের সমাজের নারী সমাজ ইজ্জত সন্মান নিয়ে বাঁচার স্বপ্ন বূননে প্রত্যয়ী এবং উদ্যোমী হতে পারলেই আমাদের দেশ,সমাজ, অর্থনীতিতে নারীদের বিশাল ভূমিকা দেশের চাকাকে ঘূরিয়ে দিয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনকল্পে নারীরা সহায়ক হিসেবে কাজ করবে বলে বিশ্বাস রাখি।