হাসিবুর রহমান ইথুন (সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি)
রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্র রাকিবুল ইসলাম, আইডি নং ১২০২০২১০৩৩২৫৩, পিতার নাম আবদুল এবি কে অনলাইন গেমস ফ্রি ফায়ার আইডি নিয়ে দ্বন্ধের জেরে খুন করা হয়েছে।
১৫ই এপ্রিল রাজধানীর কদমতলীর মিনাবাগের ময়লা স্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় নিহত রাকিবের মরদেহ। রাকিবের ফোনের রেকর্ড পর্যবেক্ষণ করে স্থানীয় ইন্টারনেট অপারেটর কর্মী রবিনের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। এরপর শরিয়তপুরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় রবিনকে এবং কদমতলী থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁর ভাই রাসেলকে।
অনলাইন গেমস ফ্রি ফায়ারে আসক্ত ছিল দুই বন্ধু রবিন ও রাকিব। ফ্রি ফায়ারে রবিনের আইডি লেভেল ছিল ৮৩; যা বাংলাদেশের অন্যতম সর্বোচ্চ। রবিন সে আইডি দিয়ে রাকিবের ফোনে খেলতো এ গেমস। পরবর্তীতে রাকিব ওই আইডি হ্যাক হয়েছে জানিয়ে গোপনে নিজেই ব্যবহার শুরু করে- এই নিয়েই দ্বন্দ্ব দুজনের।
ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ১৪ই এপ্রিল রবিনের বাসায় রাকিব গেলে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রবিন ইন্টারনেটের তার দিয়ে রাকিবের গলা পেঁচিয়ে ধরলে মৃত্যু হয় রাকিবের। হত্যার পর নয় ঘন্টা মরদেহ রেখে দেয় নিজের ঘরে ওয়ার ড্রপের মধ্যে। এরপরে ছোট ভাই রাসেলের সহায়তায় স্থানীয় একটি ময়লার স্তূপে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় শরিয়তপুরে। পুলিশের তদন্তে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে এসেছে।
এদিকে রাসেল ও রবিনের পরিবার দুইভাইয়ের এমন কান্ডে হতবাক হয়ে গেছে এবং এ ধরনের ঘটনা যেন আর কোন পরিবারে না ঘটে তার জন্যে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
রাকিবকে হারিয়ে দিশেহারা তাঁর পরিবার। তাঁর বাবা খুনীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চান।
এদিকে গ্রেফতারকৃত দুইভাই রবিন ও রাসেল দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে।