চট্রগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের ৪ সন্তানই বুয়েটের শিক্ষার্থী। এই সন্তানদের গর্বিত পিতা হলেন মরিয়ম নগর কাটাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মানিত প্রধান শিক্ষক জনাব আমিনুর রহমান। তার সন্তানরা ছাড়াও দুই মেয়ের মধ্যে একজন ঢাকা পিজি হাসপাতালের ডাক্তার অন্যজন দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। নিঃসন্দেহে এটি প্রশংসনীয় ও গৌরবের বিষয়।যেখানে বর্তমানে একজন মেধাবী সন্তানকে বুয়েটে পড়নো কঠিন, সেখানে একে একে চার সন্তান বুয়েটের শিক্ষার্থী।
পরিবারের ৩য় শিক্ষার্থী হাসান মাসুম এর টাইম লাইন থেকে হুবহু। বুয়েট এর সাথে আমাদের পরিবার এর পরিচয় ২০০৯ থেকে আমার বড় ভাইয়া Hasan Monir(EEE’09) যখন চান্স পায়। তখন ভাইয়ার ভর্তি সময় আমরা সবাই ঢাকা আসি। ছোট ছিলাম অনেক বেশি কিছু মনে নাই। তবে ভাইয়ার ভর্তির দিন বুয়েট মেডিকেল সেন্টার এর সামনে এক আন্টির সাথে আম্মু যখন কথা বলছিল তখন ওনার একটা কথা এখনও মনে আছে “ছোটরা বড়দের পথেই যায়” । আন্টি হয়ত কথার কথা বলছিল কিন্তু মনে হয় আজকে ঐ কথাটা সত্যি হল। বড় ভাইয়াকে যা কষ্ট করতে দেখেছি তখন এত কষ্ট করে ভাইয়ার মতো হওয়ার কথা ভাবতেই ভয় লাগতো। আমি নিজে বুয়েটে পড়ার সপ্ন দেখা শুরু করি যখন মেজ ভাইয়া Hasan Murad(CSE’13) বুয়েটে চান্স পায়। ভাইয়া যখন কোড করে রান দিত তখন আউটপুট দেখে সেই মজা লাগতো।
বড় ভাইয়ারা বুয়েটিয়ান হওয়ায় আমার নিজের উপর অনেক প্রেশার ছিল। সারাদিন চিন্তা করতাম চান্স না পাইলে কি কি হইতে পারে। তবে আগের ৩ জন বুয়েটিয়ান বড় ভাই থাকায় আমার চেয়ে মামুনের উপর প্রেশার আর এক্সপেকটেশন ছিল। স্কুলে ওর যা অবস্থা ছিল আর কলেজের শুরুতে যা ফাকিবাজি করছে আমি একটু ভয়ে ই ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ এই প্রেশারটা ও নিতে পারছে এবং আমাদের legacy ধরে রাখছে(যদিও merit position top 100 এ থাকারটা রাখতে পারে নাই)।
আমার আব্বু আম্মু নিজেরা ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ সুবিধা পাননি ওনাদের সময়ে। কিন্তু এমন একটা গ্রাম থেকে ওনারা আমাদের এতদূর আনার স্বপ্ন দেখেছেন যেখানে সবাই SSC/HSC পাশ এর পরই গন্তব্য বিদেশ(দুবাই/কাতার/ওমান….)। আমার সবাই গর্বিত আব্বু আম্মু’র স্বপ্ন বাস্তব করতে পেরে।