“স্বপ্নবাজ-স্বপ্নের পরিপূর্ণতা খোঁজে”।
শেখ নুরুল আবছার।
সেই ছোট থেকে আমি স্বপ্নে বার বারই দেখতাম আকাশে উঠছি, সবাই নিচে থেকে উপরের দিকে তাকিয়ে আমাকে দেখছে,আমি কেমন করে পাখীর মত করে আকাশ থেকে আকাশে উঠছি হঠাৎ যখন স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়,মনের মণি কোঠায় নিদারুন কষ্ট অনুভূত হয়।কিন্তু আমার স্বপ্নটা কিন্তু বারে বারে আমাকে মনো মুগ্ধকর পরিবেশে হাসিয়ে-মাতিয়ে রাখে।আমি সত্যিই আবেগে আপ্লুত হই।স্বপ্নটাকে হামেশা মিছ করি।
আমি সারাটি জীবন ঐ স্বপ্নের কান্ডারী হয়ে থাকতে চাইহয়তোবা আমার স্বপ্নের পরিপূর্ণতা সবসময় পাবো না কিন্তু স্বপ্ন-চিন্তায় মত্ত থাকতে চাই।
ইচ্ছে করে স্বপ্নের মাধ্যমে পাখীর কসরতে মুগ্ধ হয়ে মগ্ন থাকতে আকাশ-যানের দিকে লক্ষ্য করে দিনের অনেকটা বেলা ও অতিবাহিত করতে মন চায়।ইচ্ছে জাগে আকাশের নিস্তব্ধতা ঐ যে নীল আকাশটা থুবরে পড়ে আছে আমার স্বপ্নচারীতে তাকে ভেঙ্গে আকাশের পিছু পিছু দৌঁড়াতে,সকালের মেঘাচ্ছন্নতাকে কাটিয়ে সূর্যের আলোক রশ্মিটাকে ভাল মতো করে উপভোগ করতে।ইচ্ছে জাগে ঘু-ঘু পাখীর প্রাণ চঞ্চল ডাকে সাড়া দিয়ে তার নিদারুণ শ্রুতিমধূর ডাক শ্রবন করতে,আমার সারাটি বেলার নিষ্ফলতাকে ভূলিয়ে দিতে,চাঁদনী রাতে জোৎস্নার মন মাতানো অপরূপ সৌন্দর্য্যের রাজ স্বাক্ষী হতে।ইচ্ছে জাগে রাত্রির কুয়াশার চাদরে বাতাসের হিমেল অনুভূতিতে মন ভাসাইয়া রাত্রি শেষ করিতে।ঘন কুয়াশার চাদরে যদি পূর্ণ করতে পারতাম সারাটি নিশি তবে কতই না মজা হতো।
স্বপ্নবাজ মানুষ হিসাবে আমি সব সময় স্বপ্ন নিয়ে ভাবতে থাকি, স্বপ্নরা আমাকে ও তাড়া করে।মাঝে মাঝে আমার ভাবনার সাথে স্বপ্নের দৃশ্য খুঁজে পাই বাহ! তখন যেন অংকের সমাধানের মত মজা লাগে।
জীবনের রং বড় বৈচিত্রময়,হরেক বিহারি রংয়ের সংমিশ্রণ,কখনো মুক্ত পাখির মতো বাধঁন ছেড়া,কখনো সাজের বেলায় শুকিয়ে চুপসে যাওয়া ফুল, ঠিক তেমনি মানুষের জীবনে কিছুটা পূর্ণতা,আর শূন্যতার মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে কতো চেনা জানা আপন মূখ রেখে যায় কিছু স্মৃতি ,দিয়ে যায় কিছু চোখ ভেজা জ্বল আর বুক ভরা কষ্ট।
স্বপ্নবাজের স্বপ্ন থেমে থাকে না।মানুষ সব সময় স্বপ্ন দেখতে চায়, স্বপ্নের মাধ্যমেই পরিপূর্ণতা খোঁজে।হয়তো কাহারো স্বপ্ন সফল এবং কাহারো অসফল,কিন্তু স্বপ্নের তাগিদে বার বার স্বপ্নবাজরা ছুটে চলে স্বপ্নের পিছনে, লক্ষ্য একটাই স্বপ্নের সফলতা।সবাই কি সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে?কিন্তু অবিরত: চলছে-চলতে থাকবে স্বপ্নের পরিপূর্ণতা অর্জনে-স্বপ্ন পুরুনের লক্ষ্যে।