নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর হাতিয়ার হরণী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ১নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৪বছরের সাজাপ্রাপ্ত মো. মিরাজের। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে।
এ ঘটনায় মিরাজের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. ইউছুফ ও মাহবুবুর রহমান জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বুধবার (২৫ মে) অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ।
জানা যায়, মিরাজ দ্রুত বিচার আইনে হওয়া একটি মামলার চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি তিনি। ২০০৩ সালের ১১ আগস্ট নোয়াখালী দ্রুত বিচার আদালতের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তফা কামাল মজুমদার ওই মামলার রায় দেন। রায়ে মিরাজসহ ১৩ জন আসামিকে চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আগামী ১৫ জুন ওই ইউপিকে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে।
লিখিত অভিযোগে দুই প্রার্থী বর্ণনা করেছেন, ২০০৩ সালের ৫ জুন হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের বয়াচরের মাঈনুদ্দিন বাজারে সশস্ত্র হামলা, বোমাবাজি ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় মিরাজসহ ১৩ জন আসামিকে চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সাজা দেওয়ার পর থেকে মিরাজ প্রকাশ্যে থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। তিনি সাজার তথ্য গোপন করে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হরণী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মো. মিরাজ বলেন, তিনি মামলা ও সাজার বিষয়ে কিছুই জানতেননা। শুনছেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ২টি আপিল পেয়েছি। আজ বিকেলের মধ্যে উপজেলা অফিসে আমি লিখিত আদেশ দিয়ে দেব। অভিযোগ সত্যা কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বিচারের বিষয় এটা এভাবে বলা যাবেনা।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, ইউপি নির্বাচনের প্রার্থী মিরাজের বিরুদ্ধে এর আগে দুটি মামলার তথ্য তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন। তবে কোনো মামলায় তাঁর সাজা হওয়ার বিষয়টি তাদের জানা নেই।