ঢাকা: গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের আমলের দুর্নীতি চিত্র একাডেমিক পাঠ্যবইয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং অর্থনীতিতে দুর্নীতি তদন্তে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পরে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
শ্বেতপত্রে দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে সে সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, উন্নয়নের যে গল্পটা করা হয়েছে সেটাকে ওনারা আসলে পোস্টমর্টেম করেছেন। এ পোস্ট মর্টেমের মাধ্যমে যেটা বেরিয়ে এসেছে সেটা খুবই ভয়াবহ চিত্র। আমাদের চোখের সামনে, গোটা দেশের মানুষের চোখের সামনে একটা লুটপাট চলেছে।
শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এটা (দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র) শুনে বললেন যে আমরা আতঙ্কিত। কি ভয়াবহ অবস্থা আমাদের রক্ত হিম করার মতো অবস্থা।
তিনি বলেন, অনেক মানুষ গরিব, এ গরিব মানুষের টাকা এরা লুটপাট করেছে। এরা যে খুব বেশি লোক তা না। এখানে রাজনৈতিক ছিলেন, আমলা ছিলেন, অলিগার্স ছিলেন। কিছু ব্যবসায়ী ছিলেন। আপনারা জানেন আমাদের অনেক সাংবাদিক এটার বৈধতাও দিয়েছিলেন।
প্রেস সচিব বলেন, অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, এটা লুটপাটের এমনই চিত্র, এটা আমাদের পাঠ্যবইয়ে আসা উচিত। কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের জানা উচিত গত ১৫ বছর কিভাবে এ লুটপাটটা চলেছে।
তিনি বলেন, সেই অনুযায়ী এ ১০ ডিসেম্বর থেকেই আপনারা দেখবেন অনেকগুলো কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে, অনেকের সঙ্গে, যারা যারা প্রতিষ্ঠান এগুলো নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক ধরনের বৈঠক হবে, কথা হবে। আমাদের পুরো ফোকাস হবে এ টাকাটা কিভাবে ফেরত আনা যায়।
দুর্নীতির ভয়াবহতা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, পতিত স্বৈরাচার এক ধরনের বীরত্বের সুরেই বলছিলেন যে তার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকা বানিয়েছে।
প্রেস সচিব আরও জানান, অধ্যাপক ইউনূস এ শ্বেতপত্র সম্পর্কে বলেছেন, এটা একটা ঐতিহাসিক দলিল, ল্যান্ডমার্ক ডক্যুমেন্ট।
শফিকুল আলম বলেন, এ শ্বেতপত্রটি ৪০০ পৃষ্ঠার ডক্যুমেন্ট, ৩০টা অধ্যায় আছে। বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এ শ্বেতপত্রে।