ভাবনার জানালা__(?)প্রসঙ্গঃ আলোচনা- সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।
ফিরোজ উদ্ দীন বাদল
লেখক,কবিও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
আজ ক’ দিন যাবৎ ফেসবুক খুললেই ইডেন কলেজ নিয়ে নানা মুখরোচক খবর প্রকাশিত হচ্ছে। ছাত্রীদের মধ্যে মারামারি- চুলাচুলির খবর সংগ্রহে মিডিয়া কর্মীদের হুমড়ি খেয়ে পড়ার দৃশ্যও চোখে পড়ার মতো। গতকালের টিভির খবরে দেখলাম- ছাত্রলীগের একপক্ষ অপরপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা পর্যন্ত ঠুকে দিয়েছে। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কিছু গুরুতর অভিযোগও এসেছে সংগঠনের একাংশের পক্ষ থেকে। এর কতোটুকু সত্য- তা অদন্ত সাপেক্ষ।
তবে, একটি চিহ্নিত মহল ২৮ হাজার ছাত্রী অধ্যুষিত এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্রীর গায়ে কালিমা লেপনের অপচেষ্টায় লিপ্ত। যা মোটেই কাম্য নয়। ওখানে যারা পড়ে- ওরা আমাদের কারো না কারো সন্তান। ভালো- মন্দ সর্বত্রই আছে। আছে প্রচার- প্রোপাগাণ্ডাও। তাই বলে, সুযোগ পেলেই নারী শিক্ষা- নারীর ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা সমীচীন নয়। নুসরাতের করুণ মৃত্যুর কথা আমাদের কারো অজানা নয়। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশু বলাৎকারের ঘটনাও অহরহ ঘটে থাকে এদেশে। এজন্য কোনো শিক্ষাই দায়ী নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দায়ী নয়। ছাত্র রাজনীতি দায়ী নয়, বিশেষ কোনো ছাত্র সংগঠনও দায়ী নয়। দায়ী পুরুষ শাসিত সমাজের কুৎসিত মানসিকতা। নারীদেহ লোভী কিছু পুরুষ- কিছু অপরিনামদর্শী নারীও এজন্য কমবেশি দায়ী। অবশ্যই নারী শিক্ষা নয়। নারীর ক্ষমতায়নও নয়।
আজ ইডেন কলেজ ছাত্রীদের গড়পড়তা দায়ী করছেন। কাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র- ছাত্রীদের দায়ী করবেন। পরশু সব স্কুল- কলেজ পড়ুয়া ছাত্র- ছাত্রীদের দায়ী করবেন, এমনটি তো হতে পারেনা। হতে দেয়া যায়না।
পাদটীকাঃ অন্যায়- অবিচারের বিরুদ্ধে অবশ্যই সোচ্চার হবেন- রুখে দাঁড়াবেন। কিন্তু উদোর চন্ডি বুদোর ঘাড়ে ছাপিয়ে দেয়ার কুৎসিত মানসিকতা পরিহার করুন। সর্বোপরি, আপনি আচরি ধর্ম অপরে শেখান।