আজ ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস। ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ১১-দফা দাবি আদায়ের ছাত্র জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা আসাদ শহীদ হন।
বিগত ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাণী দেন। বাণীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন- “বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ আসাদ একটি অমর নাম।… রাষ্ট্রপতি বলেন, আগামীকাল শহীদ আসাদ দিবস, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে অবিস্মরণীয় একটি দিন। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্রসমাজের ১১-দফা দাবি আদায়ের মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ। ‘আজকের এদিনে আমি শহীদ আসাদকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি’।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ আসাদ একটি অমর নাম এ কথা উল্লেখ করে মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদের আত্মত্যাগ আন্দোলনকে বেগবান করে। জেল-জুলুম উপেক্ষা করে স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয় এবং গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। স্বৈরশাসক আইয়ুব ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন, পতন হয় স্বৈরশাসনের।
তিনি বলেন, ‘এ গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ও নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ আমাদের মুক্তিসংগগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অনন্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে এবং দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রপতি শহীদ আসাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন” ১.
মহামান্য রাষ্ট্রপতি সেই সময়ের ছাত্রনেতা মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্ পু রাজপথের একজন কর্মী হিসেবে গণতান্ত্রিক এ সব আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। গণমানুষের দাবী আদায়ে সকল আন্দোলন, দেশের মুক্তির আন্দোলন এবং পেশাজীবিগণের ন্যায় সংগত যেকোনো আন্দোলনে তাঁর স্বরুপ উপস্থিতি অথবা আকুণ্ঠ সমর্থন লক্ষ্যনীয়। “তিনি ১৯৭২-১৯৭৫ সালে পাবনা জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব পদে থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন”২.
তথ্য সুত্র : ১. বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস), ঢাকা।
২. বহুমাত্রিক প্রতিভার মেলবন্ধনে পাবনা (২০১৩) মো. মহিউদ্দিন ভূঁইয়া সম্পাদিত, পৃ.৬৬৪
@ পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), নায়েম, শিক্ষামন্ত্রণালয়