স্টার আনন্দ প্রতিবেদকঃ সেটি ছিল ২০০৩ সালের ঘটনা। অর্থাৎ দুই দশকের বেশি সময় আগে বিদ্যা বালান বলিউডি যাত্রা শুরু করেন। ওই সময় ক্যারিয়ার শুরু করা এই সাহসী তথা শরীর সর্বস্ব নায়িকা ক্যারিয়ারের শুরুতেই একাধিক হিট ছবি উপহার দেন। তবে বলিউডের প্রথম সারির এই অভিনেত্রীর যা অর্জন, সেটা কিন্তু চোখের পলকেই পাননি। বরং দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল।
বিদ্যা বালান তার ক্যারিয়ারে কাস্টিং কাউচ থেকে শুরু করে বডি শেমিংয়ের শিকারও হয়েছেন। স্বাস্থ্য ভালো হওয়ায় শরীর নিয়ে তাকে কটু কথা শুনতে হয়েছে। এই বিষয়ে এই তারকা একাধিকবার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। কয়েক দিন আগে বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ফের সেটা নিয়ে কথা বলেন তিনি।এই প্রসঙ্গে বিদ্যা বালান বলেন, শরীর নিয়ে সবসময়ই আমার সমস্যা ছিল। মোটা মেয়ে হিসেবে আমি বেড়ে উঠেছি। কিন্তু ‘ডার্টি পিকচার’ আমাকে উপলদ্ধি করিয়েছে যে, নিজেকে অনুভব করার জন্য শরীরের আকৃতির কোনো সম্পর্ক নেই। আমি মনে করি, এটি আমাকে মুক্তি দিয়েছে। অভিনেত্রী হিসেবে এটি কেবল আমার ভাবমূর্তি বদলে দেয়নি, বরং আমাকে উপলদ্ধি করিয়েছে যে, এই শরীর আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে এবং এর প্রশংসা করা উচিত।
তিনি জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিদ্যা বালানের ওজন বেড়ে যায়। তারপরও মানুষের কটাক্ষ পিছু ছাড়েনি। সম্প্রতি ওজন ঝরিয়ে বেশ ফিট হয়েছেন বিদ্যা। ওজন ও কটাক্ষ নিয়ে এর আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ভারতে একটা চল আছে, কারো সঙ্গে বহুদিন পর দেখা হলে প্রথমেই চেহারা নিয়ে মন্তব্য করা হয়। শুধু তাই নয়, কেউ জানতে চান না কেমন আছি। বরং বহুদিন পর দেখা হলে মানুষ আগে মন্তব্য করেন, আরে, কত মোটা হয়ে গিয়েছো অথবা কত রোগা হয়ে গিয়েছো! এটা ছাড়া কি আর কিছু দেখতে পান না মানুষ ? এর থেকেই বোঝা যায়, কত হালকাভাবে একজন মানুষকে আপনি দেখেন।
এর আগে অন্য একটি সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বালান বলেছিলেন, আমার শরীর আমি ভালোবাসি। এই বিষয়ে কে কী মন্তব্য করল, তাতে আমার কিছু যায় – আসে না। যেকোনো বিষয়ে একেকজনের একেক মত থাকতেই পারে। আয়নার সামনে দাঁড়ানোর পর যদি নিজেকে দেখতে নিজের ভালো লাগে, আমি দ্বিতীয়বার কিছু ভাবি না। আমাকে দেখে অন্যরা কী বলবে, সেটাও চিন্তা করি না।