ঢাকাঃ রাজধানী ঢাকায় কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সাবেক এক শিক্ষার্থী। তার নাম মাহমুদুল হাসান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইটাগাছা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে তিনি। ঢাকায় তিনি একটা আর্কিটেক্ট ফার্মে কর্মরত ছিলেন।
রোববার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোড একালায় কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন পারাপারের সময় ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেন মাহমুদুল হাসানকে ধাক্কা দেন। ঘটনাস্থলেই মাহমুদুল হাসান নিহত হন। তার বয়স ৩০।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে শোক ছড়িয়ে পড়েছে স্থাপত্য বিভাগে। তার মৃত্যুতে তার সহপাঠী, সিনিয়র, জুনিয়র সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট করেছেন।
স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান খান লিখেন, ‘শেষ দেখাটা এভাবে হবে কখনোই ভাবিনি ভাইয়া। গত সপ্তাহে আপনার নিমন্ত্রণ রক্ষা করলে হয়তো মনের কিছু কথা বিনিময় হতো। কতো মজার স্মৃতি জমা পরে গেলো মনের কোটায়। জীবন থেকে একজন মেন্টরকে হারালাম, সমস্যায় পরলে আর হয়তো সমাধান চাওয়া হবে না, আপনার মতো করে অন্য কেউ সমাধান দিবেও না। আল্লাহ আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক।’
আরেক শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ লিখেন, ‘মাহমুদ ভাই আজকে ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। বিভাগের শিক্ষকরা ডাকার সময় উল্লেখ করে ডাকতেন; সিনিয়র মাহমুদ নাকি জুনিয়র মাহমুদ। শেষবার যখন ভাই বিভাগে গিয়েছে তখন বলেছি, ভাই আমি কিন্তু মাঝে মধ্যে আপনাকে ফোন দিবো। আর ফোন দেয়া হয়ে উঠেনি। চুপচাপ মানুষটা চলে গেলো। অমায়িক এই মানুষটাকে আল্লাহ জান্নাত নসিব করুক।’
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান বিজয় দাশ গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক সংবাদ। পুরো বিভাগ শোকাহত। আমরা মাহমুদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।’